Header Ads

Header ADS

 26/(85) বিনয়ী হওয়ার তাৎপর্য

*  রহমানের বান্দা কারা? সুরা ফুরকান 63

*  বিনয়ী সভাব সুন্দর আদব দিয়ে আল্লাহকে খুশি করে জান্নাতি হওয়া যায়। অহংকার ও বেয়াদবি স্বভাব দিয়ে ইবলিশ জাহান্নামি হয় ৭: আরাফ: ১১৫

قَالُوْا یٰمُوْسٰۤى اِمَّاۤ اَنْ تُلْقِیَ وَ اِمَّاۤ اَنْ نَّكُوْنَ نَحْنُ الْمُلْقِیْنَ

وَ اُلْقِیَ السَّحَرَةُ سٰجِدِیْنَۚۖ


*  বুযুর্গানে দিন কোন মানুষকে তুচ্ছ করেননি। এমন কি কোন প্রাণীকেও তুচ্ছ মনে করেননি

* এক বুজুর্গ কুকুরের গায়ের খোস পাঁচড়া চিকিৎসা করে মারেফতের দরজা হাসিল করেন ( বয়ান ও খুতবা-( ২/৩৫৪)

*  অহংকারী নাই। আপনার দারি দামি না আমার ছাগলের দারি দামি, -( বয়ান ও খুতবা-( ২/৩৫৪

*  হুসাইন রা: ওমর রা: ছেলেকে বলেছে কয় গোলামের ছেলে গোলাম। বয়ান ও খুতবা-2 /353

*  নিরহংকার অন্তর থেকে আল্লাহকে ডাক দিলে আল্লাহ্ সারা দেন । অন্তরে নবীর মুহাব্বত নিয়ে নবীকে ডাক দিয়েছেন রাসুল সা: সারা দিয়েছেন শায়খ আহমদ রেফায়ী ( র:) রাসূল সা: এর রওজার কাছে গিয়ে কয় হে রাসূল সা: হাত মোবারক বের করে দিন,-( বয়ান ও খুতবা-( ২/৩৫৩)

*  আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: সৃষ্টির প্রতি বিনয়ী হয়েই জান্নাতি হয়েছেন। সুতরাং পরের কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস মসজিদে নববীতে এতেকাফে রত ( হাদীসের কিচ্ছা পৃ:- ৯০)


___________________________________________________________


রহমানের বান্দা কারা?  সুরা ফুরকান : আয়াত ৬৩)

 وَ عِبَادُ الرَّحۡمٰنِ الَّذِیۡنَ یَمۡشُوۡنَ عَلَی الۡاَرۡضِ هَوۡنًا وَّ اِذَا خَاطَبَهُمُ الۡجٰهِلُوۡنَ قَالُوۡا سَلٰمًا


‘আর রহমানের বান্দা তারাই যারা জমিনে বিনয়ী হয়ে নম্রভাবে চলাফেরা করে আর অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে সম্বোধন করলে তারা বলে- ‘শান্তি’।’ (সুরা ফুরকান : আয়াত 

৬৩)


৭: আল-আরাফ:আয়াত: ১১৫


قَالُوْا یٰمُوْسٰۤى اِمَّاۤ اَنْ تُلْقِیَ وَ اِمَّاۤ اَنْ نَّكُوْنَ نَحْنُ الْمُلْقِیْنَ


তখন তারা মূসাকে বললোঃ “তুমি ছুড়ঁবে না, না আমরা ছুঁড়বো?”

৭: আল-আরাফ:আয়াত: ১২০


وَ اُلْقِیَ السَّحَرَةُ سٰجِدِیْنَۚۖ


আর যাদুকরদের অবস্থা হলো এই-যেন কোন জিনিস ভিতর থেকে তাদেরকে সিজদাবনত করে দিলো।





حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ دَرَّاجًا، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ مَنْ يَتَوَاضَعْ لِلَّهِ سُبْحَانَهُ دَرَجَةً يَرْفَعْهُ اللَّهُ بِهِ دَرَجَةً وَمَنْ يَتَكَبَّرْ عَلَى اللَّهِ دَرَجَةً يَضَعْهُ اللَّهُ بِهِ دَرَجَةً حَتَّى يَجْعَلَهُ فِي أَسْفَلِ السَّافِلِينَ ‏"‏ ‏


আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) ,

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এক স্তর বিনয়ী হবে, আল্লাহ তার মর্যাদা এক স্তর উঁচু করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর বিরূদ্ধে এক স্তর অহংকার করবে, আল্লাহ তার মর্যাদা এক স্তর নীচু করে দিবেন। শেষ পর্যন্ত তিনি তাকে হীনতাগ্রস্তদের মধ্যে হীনতমে পরিণত করবেন।


সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪১৭৬


* নিজেকে ছোট মনে করাই তাওয়াযু,আল্লাহ মন দেখেন,

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ، - وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ - أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزٍ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا، هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ دَاوُدَ وَزَادَ وَنَقَصَ وَمِمَّا زَادَ فِيهِ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنْظُرُ إِلَى أَجْسَادِكُمْ وَلاَ إِلَى صُوَرِكُمْ وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ ‏"‏ ‏.‏ وَأَشَارَ بِأَصَابِعِهِ إِلَى صَدْرِهِ ‏.‏


আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ)

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: এরপর উসামাহ্‌ ইবনু যায়দ দাউদ-এর হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে এ বর্ণনায় তিনি সামান্য কম-বেশি করেছেন। তারা উভয়ে যতটুকু বাড়িয়ে বলেছেন, তা হচ্ছে “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের দেহকায় ও বাহ্যিক আকৃতির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না; বরং তিনি তোমাদের অন্তরসমূহের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন।” (এ বলে) তিনি তাঁর আঙ্গুলের মাধ্যমে স্বীয় বক্ষের দিকে ইঙ্গিত করেন। 


সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৪৩৬


* যারা বর হয়েছেন বিনয়ের মাধ্যমেই বর হয়েছেন,


* এক বুজুর্গ কুকুরের গায়ের খোস পাঁচড়া চিকিৎসা করে মারেফতের দরজা হাসিল করেন

-( বয়ান ও খুতবা-( ২/৩৫৪)


* হুসাইন রা: কয় গোলামের ছেলে গোলাম-( বয়ান ও খুতবা-( ২/৩৫৩)

হযরত ওমর ( রাঃ ) যখন খলীফা ছিলেন , তখন তার পুত্র আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর ( রাঃ ) ছিলেন মলীফার ছেলে অর্থাৎ বাদশাহর ছেলে । আর হযরত হুসাইন ( রাঃ ) ছিলেন রাসূল ( সাঃ ) -এর নাতী । তাদের উভয়ের তখনও বয়স কম । একদিন হুসাইনের সাথে ইবনে ওমরের কথা কাটাকাটি হয়ে গেল । এক পর্যায়ে হুসাইন আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরকে বললেন তুমি আমার নানার গোলামের পুত হয়ে আমাকে এমন বড় কথা বললে ? বোঝাতে চাইল যে , তোমার পিতা ওমর ছিল আমার নানা রাসুল ( সাঃ ) -এর গোলাম । তুমি সেই গোলামের ছেলে হয়ে এরকম কথা বললে ? একথা শুনে ইবনে ওমর রেগে গেল । এত বড় কথা ! আমি বাদশাহর ছেলে , আমাকে বলছ গোলামের পুত ! রেগে যেয়ে পিতার কাছে নালিশ দিল যে , হুসাইন আমাকে গোলামের পুত বলেছে । হযরত ওমর ( রাঃ ) সাহাবায়ে কেরামকে ডাকলেন যে , দরবার বসবে । এ কথার বিচার হবে । মানুষ মনে করল এবার বোধ হয় খলীফা হুসাইনকে শাস্তি দিবেন । যদি তাই হয় রাসুলের নাতিকে শাস্তি দেয়া হয় , তাহলে মদীনায় আল্লাহর গযব নেমে আসবে । ওমর এটা কী করতে যাচ্ছে । সাহাবায়ে কেরামের দরবার বসল । সকলে চিন্তা করছেন কী যেন ঘটতে যাচ্ছে । হযরত ওমর ( রাঃ ) হুসাইনকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি যে আমার ছেলেকে গোলামের ছেলে বলেছ , কেন বলেছ ? হুসাইন জওয়াব দিল কেন আপনি আমার নানার গোলামী করেননি ? তাহলে তো আপনি আমার নানার গোলাম । অতএব আপনার পুত্র গোলামের পুত্র বৈ কি ? তখন হযরত ওমর ( রাঃ ) বললেন আপনারা মদীনার সমস্ত সাহাবীরা সাক্ষী থাকুন রাসূলের নাতী স্বীকার করলেন যে , আমি বাসুলের গোলাম । আপনারা কি একথার সাক্ষী থাকলেন ? সকলে বললেনঃ হ্যাঁ আমরা সাক্ষী থাকলাম । তখন হযরত ওমর ( রাঃ ) আবেগ জড়িত কণ্ঠে বললেন হাশরের ময়দানে আমি যেন রাসূলের গোলাম হয়ে উঠতে পারি । আমি তখন বলব আমি আপনার গোলাম , আপনার নাতী একথার স্বীকৃতি দিয়েছে । বহু মানুষ তার সাক্ষী । কাজেই আমার সব দায়িত্ব আপনার । গোলামের সব কিছুর দায়িত্ব থাকে মুনীবের । আমি আপনার গোলাম , আমাকে উদ্ধার করার দায়িত্ব আপনার । এভাবে শুধু রাসূল ( সাঃ ) এবং সাহাবায়ে কেরামই নন , যারা বড় হয়েছেন , তাওয়ায় এবং বিনয়ের মাধ্যমেই বড় হয়েছেন । সমস্ত বুযুর্গানে দ্বীনের অবস্থা এরকম । তারা বড় হয়েছেন নিজেদের ছোট মনে করেই


একজন বুযুর্গের ঘটনা আছে তার মুখে ছিল নীচের দিকে সামান্য কয়েকটা দাড়ি । আমরা অনেকে এরকম দাড়িকে ছাগলে দাড়ি বলে থাকি । কিন্তু এটা ঠিক নয় । দাড়ি তো দাড়িই । দাড়ি একটা মর্যাদার জিনিস । সেটাকে ছাগলের মুখের পশমের সাথে উদাহরণ দিয়ে ছাগলে দাড়ি বলা ঠিক নয় । যাহোক একদিন এক লোক ঐ বুযুর্গের সাথে উপহাস করার জন্য একটা ছাগল নিয়ে এসে বলল হুজুর । আপনার দাড়ি বেশী দামী না আমার ছাগলের দাড়ি বেশী দামী । বুযুর্গ বললেন , আমি এখন মন্তব্য করতে আমাকে জিজ্ঞাসা করো । মরার পরে যখন ঐ বুযুর্গের লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল , তখন সেই লোকটা হাজির হল । তখন লাশের যবান খুলে গেল যে , তোমার ছাগলের দাড়ির চেয়ে আমার দাড়ি বেশী দামী । কারণ আমার ঈমানের সাথে মৃত্যু হয়েছে , আমার নাজাতের ব্যবস্থা হয়ে গেছে । কিন্তু জীবদ্দশায় তিনি বলেননি , আমার দাড়ি বেশী দামী । একটা ছাগলকেও তিনি তুচ্ছ জানেননি । এভাবে সব ক্ষেত্রে নিজেদেরকে তুচ্ছ জেনে এবং তাওয়ায় ’ প্রদর্শন করেই বড়রা বড় হয়েছেন । নিজেকে বড় মনে করলে এবং বড়ায়ী দেখালেই বড় হওয়া যায় না।


* শায়খ আহমদ রেফায়ী ( র:) রাসূল সা: এর রওজার কাছে গিয়ে কয় হে রাসূল সা: হাত মোবারক বের করে দিন,-( বয়ান ও খুতবা-( ২/৩৫৩)

ঘটনাটি - হজরত শায়খ আহমদ রেফয়ী ( রঃ ) ৫৫৫ হিজরী সনে হজ্জ সমাপন করিয়া নবীজির রওজা জিয়ারতের জন্য মদিনায় হাজির হন । সেখানে তিনি নিম্নোক্ত রওজার সামনে দাঁড়াইয়া নিম্নোক্ত দুটি বয়াত পড়েন । দূরে থাকা অবস্থায় আমি আমার রুহকে হুজুর সাঃ এর খেদমতে পাঠাইয়া দিতাম । সে ( রুহ ) আমার নায়েব হইয়া আস্তানা শরীফে চুম্বন করিত । আজ আমি শ্বশরীরে দরবারে হাজির হইয়াছি । কাজেই হুজুর আপন হস্ত বাড়াইয়া দেন যেন আমার ঠোট উহাকে চুম্বন করিয়া তৃপ্তি হাসিল করে । বয়াত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কবর হইতে হাত মোবারক বাহির হইয়া আসে এবং হযরত রেফায়ী উহাকে চুম্বন করিয়া তৃপ্তি হাসিল করেন । বলা হয় যে , সে সময় মসজিদে নববীতে ৯০ হাজার লোকের সমাগম ছিল । সকলেই বিদ্যুতের মতো হাত মোবারকের চমক দেখিতে পায় । তাহাদের মধ্যে মাহবুবে ছোবহানী আব্দুল কাদের জিলানীও ছিলেন । সূত্র : ফাজায়েলে হজ্জ -২৫৮ পৃষ্ঠা এই ঘটনা নিয়ে তাবলীগ বিরোধীদের মাথা ব্যাথার অন্ত নেই ! আসুন দেখি এই ঘটনার উৎস কি - সাইয়েদ আহমাদ কবীর রেফায়ী ( রহ ) এর কবিতা শুনে যে , রাসূলুল্লাহ ( সা ) রওজা মুবারাক হতে হাত বের করেছিলেন , তা ইমাম জালালুদ্দিন সূয়তী ( রহ ) তার শায়েখ কামাল উদ্দিন থেকে তিনি শায়েখ শামসুদ্দিন জাযিরী থেকে , তিনি শায়েখ য্যনুদ্দিন থেকে তিনি শায়খ ইমুদ্দিন আহমদ ফারুকী থেকে তিনি তাঁর পিতা শায়েখ আবু ইসহাক ইবরাহীম থেকে ও তিনি তাঁর শায়েখ ইমুদ্দিন ওমর ( রহ ) এর সনদে তাঁর কিতাব " শরফে মুখতেম " নামক কিতাবে উল্লখে করেছেন । সাইয়েদ আহমাদ কবীর রেফায়ী ( রহ ) এর " আল - বুরহানুল মুয়াইয়াদ " নামক কিতাবের ভূমিকায় এই কাহিনী আছে । > 12

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ভাইয়েরা ফাযায়েলের কিতাবের উপর কিরূপ খড়গহস্ত হয়েছে , তা মুটামুটি সকলেই দেখেছে , কিন্তু কেন তারা জালালুদ্দিন সূয়তী ( রহ ) এর বিরুদ্ধে আগে বলল না , কিন্তু তা কি আগে প্রয়োজন ছিল না .. ! ? 554 B / s এছাড়া ... # ' ইমাম আবু বকর বিন আবিদ্দুনিয়া ( রহ ) এর কিতাব " মান আ'শা বা'দাল মাউত " , # ' ইবনে কাসীর ( রহ ) এর ' আল - বিদায়া ওয়ান নিহায়া " , # ' হাফেজ আবু নয়ীম ইস্পাহানী ( রহ্ ) এর " হুলিয়াতুল আওলিয়া " , # ' ইমাম ইয়াসেফী এবং তাজুদ্দীন সুবকী ( রহ ) এর " তবাক্কাতুল কোবরা " - , # ' শাহ আব্দুল আজীজ ( রহ ) " বুস্তানুল মুহাদ্দেসীন " , # ' আবু বকর বাগদাদী ( রহ ) " তারীখে বাগদাদী " , # ' শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দেসী দেহলভী ( রহ ) " আরবা ঈন " , # ' ইবনুল কায়্যিম ( রহ ) এর " কিতাবুর রূহ " সহ অন্যান্য ইমাম এবং মুহাদ্দিসীনে কেরামের সমালোচনা কি আগে করা উচিৎ না , কারণ তাদের বইগুলোই তো কাহিনীগুলোর মূল সূত্র । আর উনারা কোরআন - হাদিস জানতেন না , নাকি জানার পরেও ইচ্ছে করে শিরক আর কুফরী প্রচার করেছেন . . . ?? ! ( নাউযুবিল্লাহ ) ।




ইমান নিয়ে মরতে পারলেই জীবন সফল ৷


* আপনার দারি দামি না আমার ছাগলের দারি দামি, -( বয়ান ও খুতবা-( ২/৩৫৪)


* সৃষ্টির প্রতি বিনয়ী হতে হবে পরের কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস মসজিদে নববীতে এতেকাফে রত

( হাদীসের কিচ্ছা পৃ:—৯০)


 * আলেমের, বৃদ্ধাদের সেবা করেন, ইলেকশনে চল্লিশা খাওয়ায়,


*বিনয় আল্লাহ খুশি হয়, অহংকারে ইবলিশ জাহান্নামী হয়ক


* আমরা কি আল্লাহর গোলাম হতে চাই ,গোলামের পরিচয়টাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় মর্যাদার পরিচয়, আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় রাসুল কে, কালামে পাকে গোলাম বলে পরিচয় দিয়েছেন, সুতরাং নিজেকে আল্লাহর গোলাম বলে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে সবচেয়ে বড় মর্যাদার পরিচয়,

سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَىٰ بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا ۚ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ


(বনী-ইসরাঈল - ১)

পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।

* আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: সৃষ্টির প্রতি বিনয়ী হয়েই জান্নাতি হয়েছেন। সুতরাং পরের কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস মসজিদে নববীতে এতেকাফে রত ( হাদীসের কিচ্ছা পৃ:—৯০)


মহানবী (সাঃ) একদিন মসজিদে বসে আছেন। সাহাবীরা তাঁকে ঘিরে আছেন। এমন সময় মহানবী (সাঃ) বললেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন, তিনি বেহেশতের অধিবাসী।” একথা শুনে উপস্থিত সব সাহাবী অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রইলেন মসজিদের প্রবেশ মুখে। সবার মধ্যে জল্পনা কল্পনা চলছে, হয়তো হজরত আবু বকর (রাঃ) বা হজরত উমর (রাঃ) অথবা এমন কেউ আসছেন যাঁদের বেহেশতের সুসংবাদ আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলেন একজন সাধারণ আনসার সাহাবী। এমনকি তাঁর নাম পরিচয় পর্যন্ত জানা ছিল না অধিকাংশের।

এরপরের দিনেও সাহাবীরা মসজিদে বসে আছেন নবীজি (সাঃ) কে ঘিরে। নবীজি (সাঃ) আবার বললেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন, তিনি বেহেশতের অধিবাসী।” সেদিনও মসজিদে প্রবেশ করলেন সেই সাহাবী।

তৃতীয় দিন নবীজি (সাঃ) সাহাবীদের লক্ষ্য করে আবার ঘোষণা দিলেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন, তিনি বেহেশতের অধিবাসী।” এবং সাহাবীরা দেখলেন সেই অতি সাধারণ সাহাবী মসজিদে প্রবেশ করলেন।

পরপর তিনদিন এই ঘটনা ঘটার পর, সাহাবীদের মধ্যে কৌতূহল হলো সেই সাধারণ সাহাবী সম্পর্কে জানার জন্য। তিনি কেন অন্যদের চেয়ে আলাদা তা জানতে হবে। বিখ্যাত সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর আল আ’স (রাঃ) ভাবলেন, এই সাহাবীর বিশেষত্ব কী তা জানতে হলে তাকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তিনি সেই সাহাবীর কাছে গিয়ে বললেন, “আমার বাবার সাথে আমার মনোমালিন্য হয়েছে, তোমার বাড়িতে কি আমাকে তিন দিনের জন্য থাকতে দেবে?’’

সেই সাহাবী রাজী হলেন। হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) তাঁকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকলেন, খুঁজতে থাকলেন কী এমন আমল তিনি করেন। সারা দিন তেমন কোন কিছু চোখে পড়ল না। তিনি ভাবলেন হয়তো তিনি রাত জেগে ইবাদত করেন। না, রাতের নামায পড়ে তো তিনি ঘুমাতে চলে গেলেন। উঠলেন সেই ফজর পড়তে।

পরের দুটি দিনও এভাবে কেটে গেল। হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) কোন বিশেষ আমল বা আচরণ আবিষ্কার করতে পারলেন না যা অন্যদের চেয়ে আলাদা। তাই তিনি সরাসরি সেই সাহাবীকে বললেন, “ দেখ আমার বাবার সাথে আমার কোন মনোমালিন্য হয় নি, আমি তোমাকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য তোমার বাড়িতে ছিলাম। কারণ নবীজি (সাঃ) বলেছেন যে তুমি জান্নাতি। আমাকে বল তুমি আলাদা কী এমন আমল করো?’’

সেই সাহাবী বললেন, “ তুমি আমাকে যেমন দেখেছ আমি তেমনই, আলাদা কিছুতো আমার মনে পড়ছে না”।

এ কথা শুনে হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) তাঁকে বিদায় জানিয়ে চলে যেতে থাকলেন। এমন সময় সেই সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) কে ডেকে বললেন, ‘আমার একটা অভ্যাসের কথা তোমায় বলা হয়নি –রোজ রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দেই, যারা আমাকে কষ্ট দিয়েছে, বা আমার প্রতি অন্যায় করেছে। তাদের প্রতি কোন ক্ষোভ আমার অন্তরে আমি পুষে রাখি না”। হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) একথা শুনে বললেন, “এ জন্যই তুমি আলাদা, এ জন্যই তুমি জান্নাতি”। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না। (বুখারী ও মুসলিম)

No comments

Powered by Blogger.