Header Ads

Header ADS

34 সব কিছু হবে আল্লাহর জন্য

  34/ সব কিছু হবে আল্লাহর জন্য 

 যে কাজ আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপর অটল থেকে তার সন্তুষ্টির জন্য করা হয় সেটা শক্তিশালী হয়

 ৬: আল- আনয়াম:আয়াত: ১৬২

قُلْ اِنَّ صَلَاتِیْ وَ نُسُكِیْ وَ مَحْیَایَ وَ مَمَاتِیْ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَۙ

* আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপর বিশ্বাস রাখার নাম ঈমান। কালিমাতে পড়েছিলাম 

خيره وشره من الله

* এক বিত্তবান আলেম ছিলেন । তিনি একদিন ক্লাসে বসে হাদীস পড়াচ্ছেন । এমন সময় খবর আসলো , ' আপনার সব কয়টি জাহাজ মাল সহ সমুদ্রে ডুবে গেছে । তিনি বললেন আলহামদুলিল্লাহ।এই হচ্ছে আল্লাহর অলিদের খাস সম্পদ চলে গেছে কোন দুঃখ নাই আবার সম্পদ পেয়ে গেছে কোন আনন্দ নাই। ওয়াজ ও খুতবা -১০২

সুতরাং যা কিছু করবো কার জন্য করবো? কারণ আল্লাহ আমার রব

* দ্বিতীয়ত সব কিছু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করবো

* আমাদের ঈমানটা দুর্বল, ঈমান আমাদেরকে গুনাহ থেকে বাঁচাতে পারছে না। আমরা আমাদের ঈমানের কাছে অপারগ। নতুবা ঈমানদার কাউকে ভয় পায় না 

* এক অত্যাচারী বাদশার জন্য জাহাজ ভর্তি সরাব আনা হলো,,(ফাযায়েলে আমল,ফাযায়েলে জিকির-৪৯)

* যে কাজ আল্লাহর জন্য করা হয় সেটা শক্তিশালী হয়।বনি ইসরাইল গোত্রের এক আবেদ লোকজন যে গাছের পুজা করে তা কাটতে যায়,(ফাযায়েলে আমল,ফাযায়েলে জিকির-৫০)

* সঠিক পথ হচ্ছে সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর গোলামী করা তার ইবাদত করা ৩৬: ইয়া-সীন:আয়াত: ৬১

وَّ اَنِ اعْبُدُوْنِیْ١ؔؕ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِیْمٌ


____________________________________



34/217 যে কাজ আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপর অটল থেকে তার সন্তুষ্টির জন্য করা হয় সেটা শক্তিশালী হয়

* প্রথমত: আল্লাহর সিদ্ধান্তর উপর অটল

* বাজ পাখীর পলায়ন এক বুযুর্গ ছিলেন গভীর জ্ঞানের অধিকারী । আল্লাহ্র মারেফাত ও প্রজ্ঞার ভারে তিনি সর্বদা অবনত থাকতেন । মোটকথা তিনি ছিলেন একজন কামেল ওলী । কিন্তু ছিলেন খুব গরীব । একদিন তিনি একটি শহর অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন । দেখলেন দিন - দুপুরে চারিদিকে শত শত পাহারা বসানো হয়েছে । বুযুর্গ এরূপ করার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন । তখন জানতে পারলেন যে বাদশার পোষা বাজ পাখীটি উড়ে গেছে । সেইজন্যে বাদশাহ্ হুকুম দিয়েছেন যে শহরের সমস্ত ফটক বন্ধ করে দেওয়া হউক যেন পাখীটি শহর থেকে বাহির হতে না পারে । এই কথা শুনে বুযুর্গ অনেক হাসলেন , এই মনে করে যে বাদশাহ্টি কত বড় মূর্খ ! পাখীর আবার শহরের দরজা দিয়ে বাহির হওয়ার কী দরকার ? পাখী যদি খাঁচা ছেড়ে আকাশে উড়ে যায় তবে শহরের গেট বন্ধ করে তাকে ঠেকানো যায় না এ কথাটি বাদশাহ্ বুঝতে পারলো না । বুযুর্গ বেশ কিছুটা গর্বের সাথে আল্লাহর দরবারে আরজ করলেন যে ভাল মূর্খকে আপনি বাদশাহী দিয়েছেন ! অথচ আমাদের এত মারেফাত আর এত জ্ঞান হাছেল হওয়া সত্ত্বেও পথে পথে জুতা ক্ষয় করে চলেছি , আমাদেরকে কেউ শুধায় না । তখন আল্লাহ্র তরফ থেকে এল্হামের মাধ্যমে জওয়াব আসলো , “ তবে কি তুমি চাও তোমার এল্‌ম্ ও মারেফাত এবং দারিদ্রতা এই বাদশাকে দিয়ে দিই এবং তোমাকে তার মূর্খতা ও আল্লাহ্র প্রতি অবহেলা দিয়ে তার স্থলাভিষিক্ত করে দিই ? ” এই কথা শুনে বুযুর্গ কেঁপে উঠলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে সেজদায় পড়ে গেলেন এবং বললেন , “ হে দয়াময় ! আমি কখনও এরূপ হতে রাজি নই । আমার এই মা'রেফাত , আমার এই এলেম সাত রাজার ধনের চেয়েও মূল্যবান । আমার দারিদ্রতাই আমার অলঙ্কার । মূর্খতা বাদশার জন্যেই শোভা পাক ।


* আল্লাহর সিদ্ধান্ত এর উপর বিশ্বাস রাখার নাম ঈমান। খাইরিহি ওয়া শাররিহি মিনালল্লাহি তায়ালা 

* এক বিত্তবান আলেম ছিলেন । তিনি একদিন ক্লাসে বসে হাদীস পড়াচ্ছেন । এমন সময় খবর আসলো , ' আপনার সব কয়টি জাহাজ মাল সহ সমুদ্রে ডুবে গেছে । এই খবর শোনার পর তিনি নীচের দিকে মাথা নুইয়ে কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন । তারপর বললেন , ' আলহামদুলিল্লাহ্ ! ' তারপর আবার সবক পড়াতে লাগলেন । এর কিছুক্ষণ পর আবার খবর আসলো , ' আগের খবরটি ভুল । জাহাজগুলি আপনার ছিল না । আপনার জাহাজ ভাসমান অবস্থায় গন্তব্যে পৌছে গেছে । এই খবর শোনার পর তিনি মাথা নোয়ালেন এবং কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন । তারপর বললেন , আলহামদুলিল্লাহ্ ! ' ছাত্রগণ আরজ করলো , “ হুযূর , হারানো জাহাজ ফিরে পেয়ে শুকরানা স্বরূপ ' আলহামদুলিল্লাহ্ ' বলেছেন এটা বুঝতে পারলাম । কিন্তু জাহাজ হারানোর খবর শুনে ' ইন্না লিল্লাহ্ ' না বলে ' আলহামদু লিল্লাহ্ ' বলেছিলেন কেন সেটা বুঝতে পারলাম না । " তিনি বললেন , “ জাহাজ ডোবার খবর শুনে মুরাকাবা করে মনকে পরীক্ষা করে দেখলাম , সেখানে কোন দুঃখ আছর করেছে কিনা । দেখলাম জাহাজ হারানোর কোন দুঃখ সেখানে উপস্থিত হয়নি । তখন ' আলহামদুলিল্লাহ্ ' বলে আল্লাহ্র শুকুর করলাম । তারপর জাহাজ ফিরে পেয়ে মুরাকাবা করে মনকে দেখলাম সেখানে কোন খুশী উপস্থিত হয়েছে কিনা । দেখলাম সেখানে কোন আনন্দ নাই । মন ঠিক আছে । তাই ' আলহামদুলিল্লাহ্ ' বলে আল্লাহর শুকুর করলাম । অর্থাৎ সম্পদ আমার নয় এই সত্যটি মন বুঝতে পেরেছে । সকল সম্পদ আল্লাহ্র । তাঁর জিনিষ তিনি নিয়ে গেলেও দুঃখ নাই , আবার আমার কাছে আমানত রাখলেও কোন খুশী নাই । " সাঁপের মন্ত্র এই সত্যটি যারা বুঝতে পারে তাদের কাছে সম্পদ রাখা দোষের নয় । সম্পদ হলো সাঁপ । এই সাঁপকে ধরতে হলে মন্ত্র জানতে হয় । দীনদার লোকেরা সেই মন্ত্র জানেন । তাই টাকা - পয়সা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারে না । আর যারা সেই মন্ত্র না জেনে সম্পদ আহরণ করতে যায় তাদের জন্যে সম্পদ ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায় । এই সাঁপ তাদেরকে ছোবল দেয় । তাদের ঈমান ও আমল বরবাদ করে দেয় । ওয়াজ ও খুতবা -১০২

* দ্বিতীয়ত সব কিছু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করবো 

* এক অত্যাচারী বাদশার জন্য জাহাজ ভর্তি সরাব আনা হলো,,(ফাযায়েলে আমল,ফাযায়েলে জিকির-৪৯)


বাহজাতুন — নুফূস ’ কিতাবে আছে , এক অত্যাচারী বাদশাহের জন্য জাহাজ ভর্তি করিয়া শরাব আনা হইতেছিল । এক বুযুর্গ ব্যক্তি সেই জাহাজের নিকট দিয়া যাইতেছিলেন । তিনি শরাবের মটকাগুলি ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন । কিন্তু একটি মটকা না ভাঙ্গিয়া ছাড়িয়া দিলেন । তাহাকে বাধা দেওয়ার মত সাহস কাহারও হয় নাই । কিন্তু সকলেই অবাক হইল যে , এই লোক কি করিয়া এমন অত্যাচারী বাদশার মোকাবেলা করার সাহস করিল ! বাদশাহকে জানানো হইল । বাদশাও অবাক হইল যে , একজন সাধারণ লোক এমন সাহস কিভাবে করিল ! আবার সবগুলি মটকা ভাঙ্গিয়া একটিকে ছাড়িয়া দিল কেন ? বাদশাহ তাহাকে ডাকাইয়া জিজ্ঞাসা করিল , কেন তুমি ইহা করিলে ? তিনি উত্তরে বলিলেন , আমার দিলে ইহার প্রবল ইচ্ছা সৃষ্টি হইয়াছে , তাই এইরূপ করিয়াছি । তোমার মনে যাহা চায় আমাকে শাস্তি দিতে পার । বাদশাহ জিজ্ঞাসা করিল , একটি মটকা কেন রাখিয়া দিলে ? তিনি বলিলেন , প্রথমে আমি ইসলামী জোশের কারণে ভাঙ্গিয়াছি । কিন্তু শেষ মটকাটি ভাঙ্গিবার সময় আমার মনে একধরনের খুশী আসিল যে , আমি একটি নাজায়েয কাজকে খতম করিয়া দিয়াছি । তখন আমার মনে খটকা হইল যে , হয়ত আমার মনের খুশীর জন্য ইহা ভাঙ্গিতেছি । কাজেই একটিকে না ভাঙ্গিয়া ছাড়িয়া দিয়াছি । বাদশাহ বলিল , লোকটিকে ছাড়িয়া দাও , কেননা ( ঈমানের কারণে ) সে অপারগ ছিল ।


সুতরাং যা কিছু করবো কার জন্য করবো? ৬: আল- আনয়াম:আয়াত: ১৬২


قُلْ اِنَّ صَلَاتِیْ وَ نُسُكِیْ وَ مَحْیَایَ وَ مَمَاتِیْ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَۙ


বলো, আমার নামায, আমার ইবাদাতের সমস্ত অনুষ্ঠান, আমার জীবন ও মৃত্যু সবকিছু আল্লাহ‌ রব্বুল আলামীনের জন্য,

জীবনের সব কিছু করবো আল্লাহর জন্য করবো কারণ 


আল্লাহ আমার রব, এই রবই আমার সব

     দমে দমে তনু মনে তারই অনুভব


তোমার দুনিয়াতে আমি যেদিকে তাকাই

    অথৈ নিয়ামতে ডুবে আছি সবাই

       পাক-পাখালির গানে শুনি তাসবিহ্ কলরব


আল্লাহ আমার রব, এই রবই আমার সব

     দমে দমে তনু মনে তারই অনুভব


তোমার মদদ পেলে আমি আর না কিছু চাই

     তোমার প্রেমের অনল আমি কি দিয়ে নেভাই

         যার হয়েছো তুমি তার নেই যে পরাভব


আল্লাহ আমার রব, এই রবই আমার সব

      দমে দমে তনু মনে তারই অনুভব


* বনি ইসরাইল গোত্রের এক আবেদ লোকজন যে গাছের পুজা করে তা কাটতে রায়,(ফাযায়েলে আমল,ফাযায়েলে জিকির-৫০)


ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ এহইয়াউল উলুমে লিখেছেন যে, বনী ইসরাঈলে একজন আবেদ ছিলেন। তিনি দিনরাত সব সময় আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকতেন। একদিন একদল লোক এসে তাকে বলল, হযরত আমাদের এখানে একদল লোক আছে, তারা একটি গাছের পূজা করে। এ কথা শুনে তিনি রাগান্বিত হয়ে একাটি কুড়াল কাঁধে করে গাছটি কাটার জন্য রওনা হলেন। কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর শয়তান এক বৃদ্ধের আকৃতিতে তার সামনে এসে দাঁড়ায়। শয়তান আবেদকে জিজ্ঞাসা করল, আপনি কাঁধে কুড়াল নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন? আবেদ বললেন, অমুক বৃক্ষটি কাটার জন্য যাচ্ছি। শয়তান বলল, আরে আপনি একজন আবেদ মানুষ এ গাছের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কি? কুড়াল মেরে গাছ কাটা কি আপনার জন্য শোভা পায়? একটি অনর্থক কাজের জন্য আপনি ইবাদতের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে এলেন! যান, আপনি গিয়ে ইবাদত করতে থাকুন।


 জবাবে আবেদ বললেন, পথ ছাড়ুন গাছ আমি কাটবই। এ সময়ের জন্য এটাও ইবাদতের শামিল। কিন্তু শয়তান বেটাও ছাড়বার পাত্র নয় বলল, না আমি আপনাকে গাছ কাটতে দিব না। এই বলে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে গেল। এক পর্যায়ে আবেদ শয়তানের বুকের উপর চেপে বসেন। অবস্থা বেগতিক দেখে শয়তান অনুনয় বিনয় করে বলল, আজকের মত আমাকে ছেড়ে দিন। আর আমার একটি কথা আছে। অনুমতি দিলে বলি। আবেদ শয়তানকে ছেড়ে দিলেন। শয়তান বলল এ গাছ কাটা আল্লাহ তা'আলা আপনার জন্য ফরজ করেননি। তাছাড়া এতে আপনার কোন ক্ষতিও তো হচ্ছে না। আপনি তো আর তার পূজা করছেন না। আল্লাহর অনেক নবী আছে। ইচ্ছে করলে তাদের কারো দ্বারাই তিনি গাছটি কাটাতে পারতেন। জবাবে বললেন, না আমি তোমার কোন কথাই শুনব না, গাছ আমি কাটবই। ফলে আবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এবারও আবেদ শয়তানকে হারিয়ে তার বুকের উপর চেপে বসেন।


 পরাজয় দেখে শয়তান বলল, আচ্ছা এসব না করে আসুন, আমরা এমন একটি মীমাংসা করে নেই যাতে আপনি যথেষ্ট লাভবান হবেন। একথা শুনে আবেদ শয়তানকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, বল কিভাবে হবে সে মীমাংসা? শয়তান বলল, আপনি নেহায়েত গরীব মানুষ বলতে গেলে দুনিয়ার জন্যে আপনি একটি বোঝা। গাছ কাটার পরিকল্পনা যদি ত্যাগ করতে পারেন তাহলে প্রতিদিন আপনাকে আমি তিনটি করে স্বর্ণমুদ্রা দান করব। প্রত্যহ আপনার মাথার কাছে আমি তা রেখে আসব। এতে আপনি নিজেও উপকৃত হবেন এবং আপনার আত্মীয় স্বজন, গরীব মিসকীনদেরও উপকার করতে পারবেন। এতে আপনি প্রচুর সওয়াবের অধিকারী হবেন। পক্ষান্তরে গাছটি কাটলে একটি মাত্র সওয়াব পাবেন। তাছাড়া তাতে কাজের কাজ কিছুই হবে না। আপনি একটি গাছ কেটে আসবেন আর তারা আরেকটি লাগিয়ে নেবে। এবার আবেদ শয়তানের কাছে ধরা খেয়ে গেল। শয়তানের মীমাংসা প্রস্তাবে তিনি রাজী হয়ে গেলেন। গাছ কাটার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন।


তারপর দুদিন পর্যন্ত ওয়াদা মোতাবেক তিনি তিনটি করে স্বর্ণমুদ্রা পলেন। কিন্তু তৃতীয় দিন আর পেলেন না। এতে আবেদ খুব চটে গেলেন এবং কুড়াল নিয়ে আবার রওয়ানা হলেন। এবারও পথে সেই বৃদ্ধের সঙ্গে দেখা। আবেদকে দেখে শযতান অবাক বিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করল। কী ব্যাপার আপনি কুড়াল নিয়ে কোথায় রওয়ানা হলেন? আবেদ বললেন, আমি গাছ কাটতে যাচ্ছি, তোর কোন বাধা আমি মানবো না, গাছ আমি কাটবই। শয়তান বলল, না আপনি গাছ কিছুতেই কাটতে পারবেন না। আমি আপনাকে গাছ কাটতে দেব না। এই বলে দুজনের মধ্যে প্রথম শুরু হয় বাদানুবাদ তারপরে ধস্তাধস্তি। অবশেষে শয়তানের জয় হয়। আবেদের বুকের উপর চরে বসে সে। পরাজয় দেখে আবেদ হতবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ব্যাপার কি? তুমি এইবার জয়লাভ করলে কিভাবে? শয়তান বলল, বুঝলেন না, আগেরবার আপনার ক্রোধ ছিল খালেস আল্লাহর জন্যে। তাই আল্লাহ তা'আলা আমাকে পরাজিত করে আপনাকে বিজয় দান করেছিলেন। আর এবারের ক্রোধে আপনার পার্থিব স্বার্থের দখল ছিল। তাই আপনি পরাজিত হলেন।

* আমাদের চাওয়া পাওয়া সব হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি


* সঠিক পথ হচ্ছে সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর গোলামী করা তার ইবাদত করা ৩৬: ইয়া-সীন:আয়াত: ৬১

وَّ اَنِ اعْبُدُوْنِیْ١ؔؕ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِیْمٌ


এবং আমারই বন্দেগী করো, এটিই সরল-সঠিক পথ?

No comments

Powered by Blogger.