Header Ads

Header ADS

36 কালিমার অর্থ

 36  কালিমার অর্থ অনেকের অজানা 

* কালিমাতে দুইটি অংশ একটি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অপরটি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। দুটির উপর বিশ্বাসের নাম ঈমান। কারন আমার নবী নিজে থেকে কোন কথা বানাইয়া বলেননি।যা বলেছেন অহির কথাই বলেছেন 

৫৩: আন-নাজম:আয়াত: ৩

* আমার নবী নিজের থেকে যদি বানাইয়া কোনো কথা বলতেন পরিনাম এমনটি হতো

৯: আল-হাক্বাহ্:আয়াত: ৪৪

وَ لَوْ تَقَوَّلَ عَلَیْنَا بَعْضَ الْاَقَاوِیْلِۙ

لَاَخَذْنَا مِنْهُ بِالْیَمِیْنِۙ

ثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ الْوَتِیْنَ٘ۖ

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَطِیْعُوا اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ وَ لَا تَوَلَّوْا عَنْهُ وَ اَنْتُمْ تَسْمَعُوْنَۚۖ

সুতরাং আল্লাহকে যেমন মানতে হবে নবীকে ও তেমন মানতে হবে।

*  নবীর সাহাবীগন এই কালিমা যা বলেছ জীবন চলে গেছে কালিমার নির্দেশ ছারে নাই। আর আমরা সামান্য স্বার্থের বিনিময়ে কালিমার নির্দেশ ভূলে যাই।

لا اله الله محمد رسول الله

অর্থ হলো এই জীবন চলবে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের নির্দেশে। 

*  এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ে না কয় ঈমান ঠিক আছে 

* গ্রামের অনেক লোকেরা বলে নামায পড়িনা কি হইছে ঈমান ঠিক আছে কয়না? আল্লাহ কি বলেন শুনুন ৪৯: হুজুরাত:আয়াত: ১৪

قَالَتِ الْاَعْرَابُ اٰمَنَّا١ؕ قُلْ لَّمْ تُؤْمِنُوْا وَ لٰكِنْ قُوْلُوْۤا اَسْلَمْنَا وَ لَمَّا یَدْخُلِ الْاِیْمَانُ فِیْ قُلُوْبِكُمْ١ؕ وَ اِنْ تُطِیْعُوا اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ لَا یَلِتْكُمْ مِّنْ اَعْمَالِكُمْ شَیْئًا١ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ

* আমাদের ঈমান হচ্ছে মৌখিক ঈমান। কালিমা পড়েছিল হযরত বেলাল, খাব্বাব, খোবায়ের,আম্মার, সুমাইয়া, সায়্যিদ কুতুব 

* কালিমা পড়েছিল ঐ সেই মহিলা যে যেনা করার পর নিজে এসে নবীজির কাছে অপরাধ স্বীকার করে।

* ইজত গোত্রের এক নারী যিনা করে ধরা দেয়, প্রথমে মা’ইয ইবনু মালিক আসলামী নবী (সা:)-এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! নিশ্চয়ই আমি আমার আত্মার উপর জুলুম করেছি, অর্থাৎ ব্যভিচার করেছি।চতুর্থবার সে আগমন করলো, তখন তার জন্য একটি গর্ত খনন করা হলো এবং তিনি (সা:) তার প্রতি (ব্যভিচারের শাস্তি প্রদানের) নির্দেশ প্রদান করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর গামিদী এক মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি ব্যভিচার করেছি,সহিহ মুসলিম,৪৩২৪ সহিহ

*  যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয় তাঁরা কভু পথ ভুলে যায়না

* খোদাভীতির একটি দৃষ্টান্ত। হযরত ওমর রা. তাঁর খেলাফতকালে লোকজনের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য রাতের বেলা মদীনা মুনাওয়ারায় টহল দিতেন। এক রাতে তাহাজ্জুদের পর টহল দিচ্ছিলেন। হঠাৎ লক্ষ করলেন, একটি ঘর থেকে কথাবার্তার শব্দ শোনা যাচ্ছে

____________________________________


* কালিমাতে দুইটি অংশ একটি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অপরটি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। একটির উপর বিশ্বাসে মুসলমান হওয়া যায় না। কারন আমার নবী নিজে থেকে কোন কথা বানায়া বলেননি। 


*  আমার নবী নিজে থেকে কোন কথা বানাইয়া বলেননি।যা বলেছেন অহির কথাই বলেছেন 


৫৩: আন-নাজম:আয়াত: ৩


وَ مَا یَنْطِقُ عَنِ الْهَوٰىؕ




সে নিজের খেয়ালখুশী মতো কথা বলে না।


৫৩: আন-নাজম:আয়াত: ৪


اِنْ هُوَ اِلَّا وَحْیٌ یُّوْحٰىۙ

যা তার কাছে নাযিল করা হয় তা অহী ছাড়া আর কিছুই নয়।


*  আমার নবী নিজের থেকে যদি বানাইয়া কোনো কথা বলতেন পরিনাম এমনটি হতো

৬৯: আল-হাক্বাহ্:আয়াত: ৪৪


وَ لَوْ تَقَوَّلَ عَلَیْنَا بَعْضَ الْاَقَاوِیْلِۙ


যদি এ নবী নিজে কোন কথা বানিয়ে আমার কথা বলে চালিয়ে দিতো


৬৯: আল-হাক্বাহ্:আয়াত: ৪৫


لَاَخَذْنَا مِنْهُ بِالْیَمِیْنِۙ

তাহলে আমি তার ডান হাত ধরে ফেলতাম


৬৯: আল-হাক্বাহ্:আয়াত: ৪৬


ثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ الْوَتِیْنَ٘ۖ


এবং ঘাড়ের রগ কেটে দিতাম।


সুতরাং নবীর কথাই আল্লাহর কথা


৮: আল-আনফাল:আয়াত: ২০


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَطِیْعُوا اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ وَ لَا تَوَلَّوْا عَنْهُ وَ اَنْتُمْ تَسْمَعُوْنَۚۖ


হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করো এবং হুকুম শোনার পর তা অমান্য করো না।


*  এই কালিমা যা বলেছ জীবন চলে গেছে কালিমার নির্দেশ ছারে নাই। আর আমরা সামান্য স্বার্থের বিনিময়ে কালিমার নির্দেশ ভূলে যাই।


*  গ্রামের অনেক লোকেরা বলে নামায পড়িনা কি হইছে ঈমান ঠিক আছে কয়না? আল্লাহ কি বলেন শুনুন

৪৯: আল-হুজুরাত:আয়াত: ১৪


قَالَتِ الْاَعْرَابُ اٰمَنَّا١ؕ قُلْ لَّمْ تُؤْمِنُوْا وَ لٰكِنْ قُوْلُوْۤا اَسْلَمْنَا وَ لَمَّا یَدْخُلِ الْاِیْمَانُ فِیْ قُلُوْبِكُمْ١ؕ وَ اِنْ تُطِیْعُوا اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ لَا یَلِتْكُمْ مِّنْ اَعْمَالِكُمْ شَیْئًا١ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ


এ বেদুইনরা বলে, “আমরা ঈমান এনেছি” তাদের বলে দাও তোমরা ঈমান আন নাই। বরং বল, আমরা অনুগত হয়েছি। ঈমান এখনো তোমাদের মনে প্রবেশ করেনি। তোমরা যদি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্যের পথ অনুসরণ করো তাহলে তিনি তোমাদের কার্যাবলীর পুরস্কার দানে কোন কার্পণ্য করবেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।


*  আমাদের ঈমান হচ্ছে মৌখিক ঈমান। কালিমা পড়েছিল হযরত বেলাল, খাব্বাব, খোবায়ের,আম্মার, সুমাইয়া, সায়্যিদ কুতুব । 


*  ফাঁসির আগ মূহুর্তে সায়্যিদ কুতুব (রাহিমাহুল্লাহ) কে কালিমা পড়ানোর জন্য জেলের ইমামকে পাঠানো হলো। জেলের ইমাম এসে সায়্যিদ কুতুবকে কালিমা পড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলেন।


-তাকে দেখে সায়্যিদ কুতুব জিজ্ঞেস করলেন, "আপনি কী জন্য এখানে এসেছেন?"


-ইমাম বললেন, "আমি আপনাকে কালিমা পড়াতে এসেছি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে আসামীকে কালিমা পড়ানো আমার দায়িত্ব।"


-সায়্যিদ কুতুব বললেন, "এই দায়িত্ব আপনাকে কে দিয়েছে?"


-ইমাম বললেন, "সরকার দিয়েছে।"


-সায়্যিদ কুতুব বললেন, "এর বিনিময়ে কি আপনি বেতন পান?"


-ইমাম বললেন, "হ্যাঁ আমি সরকার থেকে বেতন-ভাতা পাই।"


-তখন সায়্যিদ কুতুব রহ.বললেন, "কি আশ্চর্য! যেই কালিমা পড়ানোর কারণে আপনি বেতন-ভাতা পান, সেই কালিমার ব্যাখ্যা মুসলিম উম্মাহকে জানানোর অপরাধেই আমাকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে!


তোমার কালেমা তোমার রুটি যোগায়,


আর আমার কালেমা আমাকে ফাঁসিতে ঝুলায়!"


            -------- (সংগৃহীত)


*  কালিমা পড়েছিল ঐ সেই মহিলা যে যেনা করার পর নিজে এসে নবীজির কাছে অপরাধ স্বীকার করে।


*    ইজত গোত্রের এক নারী যিনা করে ধরা দেয়, প্রথমে মা’ইয ইবনু মালিক আসলামী নবী (সা:)-এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! নিশ্চয়ই আমি আমার আত্মার উপর জুলুম করেছি, অর্থাৎ ব্যভিচার করেছি।চতুর্থবার সে আগমন করলো, তখন তার জন্য একটি গর্ত খনন করা হলো এবং তিনি (সা:) তার প্রতি (ব্যভিচারের শাস্তি প্রদানের) নির্দেশ প্রদান করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর গামিদী এক মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি ব্যভিচার করেছি,সহিহ মুসলিম,৪৩২৪ সহিহ


أَنَّ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ الأَسْلَمِيَّ، أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَزَنَيْتُ وَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ تُطَهِّرَنِي ‏.‏ فَرَدَّهُ فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ أَتَاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ زَنَيْتُ ‏.‏ فَرَدَّهُ الثَّانِيَةَ فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى قَوْمِهِ فَقَالَ ‏"‏ أَتَعْلَمُونَ بِعَقْلِهِ بَأْسًا تُنْكِرُونَ مِنْهُ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالُوا مَا نَعْلَمُهُ إِلاَّ وَفِيَّ الْعَقْلِ مِنْ صَالِحِينَا فِيمَا نُرَى فَأَتَاهُ الثَّالِثَةَ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمْ أَيْضًا فَسَأَلَ عَنْهُ فَأَخْبَرُوهُ أَنَّهُ لاَ بَأْسَ بِهِ وَلاَ بِعَقْلِهِ فَلَمَّا كَانَ الرَّابِعَةَ حَفَرَ لَهُ حُفْرَةً ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ ‏.‏ قَالَ فَجَاءَتِ الْغَامِدِيَّةُ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ زَنَيْتُ فَطَهِّرْنِي ‏.‏ وَإِنَّهُ رَدَّهَا فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ تَرُدُّنِي لَعَلَّكَ أَنْ تَرُدَّنِي كَمَا رَدَدْتَ مَاعِزًا فَوَاللَّهِ إِنِّي لَحُبْلَى ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِمَّا لاَ فَاذْهَبِي حَتَّى تَلِدِي ‏"‏ ‏.‏ فَلَمَّا وَلَدَتْ أَتَتْهُ بِالصَّبِيِّ فِي خِرْقَةٍ قَالَتْ هَذَا قَدْ وَلَدْتُهُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ اذْهَبِي فَأَرْضِعِيهِ حَتَّى تَفْطِمِيهِ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمَّا فَطَمَتْهُ أَتَتْهُ بِالصَّبِيِّ فِي يَدِهِ كِسْرَةُ خُبْزٍ فَقَالَتْ هَذَا يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَدْ فَطَمْتُهُ وَقَدْ أَكَلَ الطَّعَامَ ‏.‏ فَدَفَعَ الصَّبِيَّ إِلَى رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَحُفِرَ لَهَا إِلَى صَدْرِهَا وَأَمَرَ النَّاسَ فَرَجَمُوهَا فَيُقْبِلُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ بِحَجَرٍ فَرَمَى رَأْسَهَا فَتَنَضَّحَ الدَّمُ عَلَى وَجْهِ خَالِدٍ فَسَبَّهَا فَسَمِعَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبَّهُ إِيَّاهَا فَقَالَ ‏"‏ مَهْلاً يَا خَالِدُ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ تَابَتْ تَ


বুরাইদাহ্ (রাঃ)-এর বরাতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ: মা’ইয ইবনু মালিক আসলামী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! নিশ্চয়ই আমি আমার আত্মার উপর জুলুম করেছি, অর্থাৎ ব্যভিচার করেছি। আমি চাই যে, আপনি আমাকে পবিত্র করবেন।’ তখন তিনি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। পরের দিন সে আবার তাঁর (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ) কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি ব্যভিচার করেছি। এবারও তিনি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোন এক ব্যক্তিকে তার সম্প্রদায়ের লোকের কাছে পাঠালেন। লোক সেখানে গিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনারা কি মনে করেন যে, তার মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটেছে এবং সে মন্দ কাজে লিপ্ত হয়েছে? তারা প্রতি উত্তরে বললেন, আমরা তো তার মস্তিষ্কের বিকৃতি সম্পর্কে কোন কিছু জানি না। আমরা তো জানি যে, সে সম্পূর্ণ সুস্থ প্রকৃতির। এরপর মা’ইয তৃতীয়বার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে আগমন করলো। তখন তিনি আবারও একজন লোককে তার গোত্রের কাছে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেরণ করলেন। তখনও তারা তাঁকে জানালো যে, আমরা তার সম্পর্কে খারাপ কোন কিছু জানি না এবং তার মস্তিষ্কেরও কোন বিকৃতি ঘটেনি। এরপর যখন চতুর্থবার সে আগমন করলো, তখন তার জন্য একটি গর্ত খনন করা হলো এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার প্রতি (ব্যভিচারের শাস্তি প্রদানের) নির্দেশ প্রদান করলেন। সুতরাং তাকে পাথর নিক্ষেপ করা হলো।


বর্ণনাকারী বলেন, এরপর গামিদী এক মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি ব্যভিচার করেছি। সুতরাং আপনি আমাকে পবিত্র করুন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে ফিরিয়ে দিলেন। পরবর্তী দিন আবার ঐ মহিলা আগমন করলো এবং বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আপনি কেন আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। আপনি সম্ভবত আমাকে ঐভাবে ফিরিয়ে দিতে চান, যেমনভাবে আপনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মা’ইযকে? আল্লাহর শপথ করে বলছি, ‘নিশ্চয়ই আমি গর্ভবতী’। তখন তিনি বললেন, তুমি যদি ফিরে যেতে না চাও, তবে আপাততঃ এখনকার মত চলে যাও এবং প্রসবকাল পর্যন্ত অপেক্ষা কর। রাবী বলেন, এরপর যখন সে সন্তান প্রসব করলো- তখন ভূমিষ্ঠ সন্তানকে এক টুকরাকাপড়ের মধ্যে নিয়ে তাঁর কাছে আগমন করলো এবং বলল, এ সন্তান আমি প্রসব করেছি। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও তাকে (সন্তানকে) দুধপান করাও। দুধপান করানোর সময় পার হলে পরে এসো। এরপর যখন তার দুধপান করানোর সময় শেষ হলো তখন ঐ মহিলা শিশু সন্তানটিকে নিয়ে তাঁর কাছে মহিলাটি আবার আগমন করলো-এমন অবস্থায় যে, শিশুটির হাতে এক টুকরা রুটি ছিল। এরপর বলল, হে আল্লাহর নবী! এইতো সেই শিশু, যাকে আমি দুধপান করানোর কাজ শেষ করেছি। সে এখন খাদ্য খায়। তখন শিশু সন্তানটিকে তিনি কোন একজন মুসলিমকে প্রদান করলেন। এরপর তার প্রতি (ব্যভিচারের শাস্তি) প্রদানের নির্দেশ দিলেন। মহিলার বক্ষ পর্যন্ত গর্ত খনন করানো হলো এরপর জনগণকে (তার প্রতি পাথর নিক্ষেপের) নির্দেশ দিলেন। তারা তাকে পাথর মারতে শুরু করলো। খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) একটি পাথর নিয়ে অগ্রসর হলেন এবং মহিলার মাথায় নিক্ষেপ করলেন, তাতে রক্ত ছিটকে পড়লো খালিদ (ইবনু ওয়ালীদ) (রাঃ)-এর মুখমন্ডলে। তখন তিনি মহিলাকে গালি দিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার গালি শুনতে পেলেন। তিনি বললেন, সাবধান! হে খালিদ! সে মহান আল্লাহর শপথ, যাঁর হস্তে আমার জীবন, জেনে রেখো! নিশ্চয়ই সে এমন তাওবাহ্ করেছে, যদি কোন “হক্কুল ইবাদ” বিনষ্টকারী ব্যক্তিও এমন তাওবাহ্ করতো, তবে তারও ক্ষমা হয়ে যেত। এরপর তার জানাযার সলাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন। তিনি তার জানাযায় সলাত আদায় করলেন। এরপর তাকে দাফন করা হলো। (ই. ফা. ৪২৮৩, ই. সে. ৪২৮৪) সহিহ মুসলিম,৪৩২৪ সহিহ


কালিমার উপর ইসতেক্বামা থাকার ফল

*  কালিমার মধ্যে কি অনুমতি আছে? মিথ্যা সূদ খোশ ধোঁকা দেওয়া, ইলেকশনে জবান ভংগ করা


*  মৃত্যুর সময় ফেরেস্তাদের সান্তনা


"যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয়"


যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয়

তারা কভু পথ ভুলে যায় না,

আল্লাহর প্রেম ছাড়া এই দুনিয়ায়

কারো কাছে কোনো কিছু চায় না ।


রাতের আধারে যারা সেজদাতে রয়

দু'চোখের অশ্রুতে নদী যেন বয়

ছলনার হাতছানি যতই আসুক

পেছনে ফিরে সে তাকায় না ।


দ্বীন কায়েমের পথে যারা অবিচল

তারা হল আল্লাহর প্রিয়জন,

বাতিলের কাছে যারা হার মানেনা

সংগ্রাম করে যায় আমরণ।


হেরার আলতে যার হৃদয় রঙ্গিন

হাতে আল জিহাদের দৃপ্ত সঙ্গিন,

সত্যের পথে যারা নিবেদিত পরান ।


*  খোদাভীতির একটি দৃষ্টান্ত। হযরত ওমর রা. তাঁর খেলাফতকালে লোকজনের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য রাতের বেলা মদীনা মুনাওয়ারায় টহল দিতেন। এক রাতে তাহাজ্জুদের পর টহল দিচ্ছিলেন। হঠাৎ লক্ষ করলেন, একটি ঘর থেকে কথাবার্তার শব্দ শোনা যাচ্ছে। সাধারণ অবস্থায় কারো ব্যক্তিগত কথা আড়ি পেতে শোনা জায়েয নয়। কিন্তু দায়িত্বশীল ব্যক্তির জন্য প্রয়োজনের ক্ষেত্রে অনুমতি আছে। তো কথাবার্তার ধরন শুনে তাঁর কৌতূহল হল। তিনি ঘরের দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়ালেন এবং শুনতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তার মেয়েকে বলছে, ‘বেটি! আজ তো উটের দুধ কম হয়েছে। এত অল্প দুধ বিক্রি করে দিন গুজরান করা কষ্ট হবে। তাই দুধের সাথে একটু পানি মিশিয়ে দাও।’মেয়ে উত্তরে বলল, ‘মা! আমীরুল মুমিনীন তো দুধের সাথে পানি মেশাতে নিষেধ করেছেন?’  বৃদ্ধা বললেন, ‘আমীরুল মুমিনীন কি আমাদের দেখছেন? তিনি হয়তো নিজ ঘরে  ঘুমিয়ে আছেন। তুমি নিশ্চিন্তে পানি মেশাতে পার।’


এবার মেয়ে বলল, ‘মা, আমীরুল মুমিনীন এখানে নেই এবং তার কোনো লোকও নেই। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তো আছেন! তিনি তো দেখছেন! তাঁর কাছে আমরা কী জবাব দেব?’


ওমর রা. দেয়ালের ওপাশ থেকে সব কথা শুনতে পাচ্ছিলেন। এতটুকু শুনেই তিনি চলে এলেন এবং পরদিন লোক পাঠিয়ে সে ঘরের খোঁজখবর নিলেন। তারপর বৃদ্ধার কাছে পয়গাম পাঠালেন যে, ‘আপনি সম্মত হলে আপনার মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে দিতে চাই।’এভাবে তাকওয়ার বদৌলতে মেয়েটি আমীরুল মুমিনীনের পুত্রবধু হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করল। এই বরকতময় ঘরের তৃতীয় পুরুষে জন্মগ্রহণ করলেন খলীফা ওমর বিন আবদুল আযীয রাহ., যাকে পঞ্চম খলীফায়ে রাশেদ বলা হয়।


তো মানুষের অন্তরে সর্বক্ষণ এই ধ্যান জাগরুক থাকা যে, ‘আল্লাহ তাআলা আমাকে দেখছেন’-এর নামই তাকওয়া।



No comments

Powered by Blogger.