Header Ads

Header ADS

188 যারা দুনিয়া চায় আল্লাহ তাদেরকে

 188 যারা দুনিয়া চায় আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া দিয়ে থাকেন।আলে-ইমরান, আয়াত: ১৪৫

 وَ مَنْ یُّرِدْ ثَوَابَ الدُّنْیَا نُؤْتِهٖ مِنْهَا١ۚ وَ مَنْ یُّرِدْ ثَوَابَ الْاٰخِرَةِ نُؤْتِهٖ مِنْهَا١ؕ وَ سَنَجْزِی الشّٰكِرِیْنَ

* দুনিয়ার সুখ তারাতারি পাওয়ার জন্য যারা কামনা করে তাদের পরিনীতি 17:বনী ইসরাঈল:18

مَّن كَانَ يُرِيدُ الْعَاجِلَةَ عَجَّلْنَا لَهُۥ فِيهَا مَا نَشَآءُ لِمَن نُّرِيدُ ثُمَّ جَعَلْنَا لَهُۥ جَهَنَّمَ يَصْلٰىهَا مَذْمُومًا مَّدْحُورًا

* #দুনিয়াদার ব্যক্তি নেক আমল করার সুযোগ পায় না। #আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেন, আল্লাহর নবী এক জানাজায় উপস্থিত হলেন,তাঁর হাতে একটি ছড়ি ছিল। তিনি নীচের দিকে তাকিয়ে তাঁর ছড়িটি দ্বারা মাটি খুঁড়তে লাগলেন সহিহ বুখারী-১৩৬২ সহিহ

* #যারা আল্লাহকে পেতে চায় নেক আমল করার সুযোগ তারা পায় । আল্লাহর প্রিয় দাসী হযরত হুসাইন বাগদাদী ( রহ ) বাজারে গেছেন । দেখলেন , একজন দাসী বিক্রি হচ্ছে । ভয়ানক কালাে । বিক্রেতা বললাে , মাথায় কিছুটা গণ্ডগােল আছে । চাইলে নিতে পার ।

* দুনিয়ারদার সাথে দুনিয়া কেমন ব্যবহার করে

* #এক বুজুর্গ এর সাথে দুনিয়ার মোলাকাত: ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি তাঁর স্বরচিত কিতাব, কিতাবুদ্দুনীয়াতে,এই নশ্বর দুনিয়ার দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে লেখেন যে, এক সময় এক বুজুর্গের কাছে একটি অত্যন্ত সুন্দর রূপসী কুমারী মেয়ে খুব সাজগোজ করে হাজির হল,

* যারা দোজখে যাবে এবং যারা জান্নাতে যাবে তারা পরস্পর সমান হতে পারে না 59:আল-হাশর:20

* কুনু মায়াছ ছোয়াদিক্কিন,#দুনিয়াদার এ দলে থাকতে রাজি নয়,সেদিন আল্লাহ তাদেরকে বলবেন। 36:ইয়া-সীন: 59

وَامْتٰزُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ

* আর প্রশান্ত আত্বাগুলোকে বলা হবে । 89:আল-ফাজর:27

يٰٓأَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ

* যারা ঘোষণা করেছে আল্লাহ আমার রব মৃত্যুর সময় তাদেরকে জান্নাতের ঘোষণা দেওয়া হয় 41: হামীম-আস সাজদাহ (ফুসসিলাত):30

إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقٰمُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلٰٓئِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِى كُنتُمْ تُوعَدُونَ


نَحْنُ أَوْلِيَآؤُكُمْ فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَفِى الْءَاخِرَةِ ۖ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَشْتَهِىٓ أَنفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَدَّعُونَ


نُزُلًا مِّنْ غَفُورٍ رَّحِيمٍ

______________________________________________________________

* দুনিয়ার সুখ তারাতারি পাওয়ার জন্য যারা কামনা করে তাদের পরিনীতি


17:বনী ইসরাঈল:18


مَّن كَانَ يُرِيدُ الْعَاجِلَةَ عَجَّلْنَا لَهُۥ فِيهَا مَا نَشَآءُ لِمَن نُّرِيدُ ثُمَّ جَعَلْنَا لَهُۥ جَهَنَّمَ يَصْلٰىهَا مَذْمُومًا مَّدْحُورًا


যে কেউ আশু লাভের ১৯ আকাঙ্ক্ষা করে, তাকে আমি এখানেই যা কিছু দিতে চাই দিয়ে দেই, তারপর তার ভাগে জাহান্নাম লিখে দেই, যার উত্তাপ সে ভুগবে নিন্দিত ও ধিকৃত হয়ে। ২০


* নেক আমলের মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন হয়, নেক আমলের মাধ্যমে,আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেন, আল্লাহর নবী এক জানাজায় উপস্থিত হলেন,তাঁর হাতে একটি ছড়ি ছিল। তিনি নীচের দিকে তাকিয়ে তাঁর ছড়িটি দ্বারা মাটি খুঁড়তে লাগলেন সহিহ বুখারী-১৩৬২ সহিহ


حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، قَالَ حَدَّثَنِي جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَلِيٍّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنَّا فِي جَنَازَةٍ فِي بَقِيعِ الْغَرْقَدِ، فَأَتَانَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَعَدَ وَقَعَدْنَا حَوْلَهُ، وَمَعَهُ مِخْصَرَةٌ فَنَكَّسَ، فَجَعَلَ يَنْكُتُ بِمِخْصَرَتِهِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ، مَا مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ إِلاَّ كُتِبَ مَكَانُهَا مِنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ، وَإِلاَّ قَدْ كُتِبَ شَقِيَّةً أَوْ سَعِيدَةً ‏"‏‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَفَلاَ نَتَّكِلُ عَلَى كِتَابِنَا وَنَدَعُ الْعَمَلَ، فَمَنْ كَانَ مِنَّا مِنْ أَهْلِ السَّعَادَةِ فَسَيَصِيرُ إِلَى عَمَلِ أَهْلِ السَّعَادَةِ، وَأَمَّا مَنْ كَانَ مِنَّا مِنْ أَهْلِ الشَّقَاوَةِ فَسَيَصِيرُ إِلَى عَمَلِ أَهْلِ الشَّقَاوَةِ قَالَ ‏"‏ أَمَّا أَهْلُ السَّعَادَةِ فَيُيَسَّرُونَ لِعَمَلِ السَّعَادَةِ، وَأَمَّا أَهْلُ الشَّقَاوَةِ فَيُيَسَّرُونَ لِعَمَلِ الشَّقَاوَةِ ‏"‏، ثُمَّ قَرَأَ ‏{‏فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى‏}‏ الآيَةَ‏.‏


‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেন, আমরা বাকী’উল গারক্বাদ (কবরস্থানে) এক জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট আগমন করলেন। তিনি উপবেশন করলে আমরাও তাঁর চারদিকে বসে পড়লাম। তাঁর হাতে একটি ছড়ি ( ছড়ি এর বাংলা অর্থ. [ছোড়ি] (বিশেষ্য) ১ চিকন লাঠি। ) ছিল। তিনি নীচের দিকে তাকিয়ে তাঁর ছড়িটি দ্বারা মাটি খুঁড়তে লাগলেন। অতঃপর বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, অথবা বললেনঃ এমন কোন সৃষ্ট প্রাণী নেই, যার জন্য জান্নাত ও জাহান্নামে জায়গা নির্ধারিত করে দেয়া হয়নি আর এ কথা লিখে দেয়া হয়নি যে, সে দুর্ভাগা হবে কিংবা ভাগ্যবান। তখন এক ব্যক্তি আরয করল, হে আল্লাহর রসূল! তা হলে কি আমরা আমাদের ভাগ্যলিপির উপর ভরসা করে আমল করা ছেড়ে দিব না? কেননা, আমাদের মধ্যে যারা ভাগ্যবান তারা অচিরেই ভাগ্যবানদের আমলের দিকে ধাবিত হবে। আর যারা দুর্ভাগা তারা অচিরেই দুর্ভাগাদের আমলের দিকে ধাবিত হবে। তিনি বললেনঃ যারা ভাগ্যবান, তাদের জন্য সৌভাগ্যের আমল সহজ করে দেয়া হয় আর ভাগ্যাহতদের জন্য দুর্ভাগ্যের আমল সহজ করে দেয়া হয়। অতঃপর তিনি এ আয়াতে তিলাওয়াত করলেনঃ فَاَمَّا مَنْ اَعْطى – وَاتقى الاية “কাজেই যে দান করে এবং তাক্‌ওয়া অবলম্বন করে আর ভাল কথাকে সত্য বলে বুঝেছে” - (সূরা লাইলঃ ৫)


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৩৬২


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


* দুনিয়ারদার সাথে দুনিয়া কেমন ব্যবহার করে

* এক বুজুর্গ এর সাথে দুনিয়ার মোলাকাত: ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি তাঁর স্বরচিত কিতাব, কিতাবুদ্দুনীয়াতে,এই নশ্বর দুনিয়ার দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে লেখেন যে, এক সময় এক বুজুর্গের কাছে একটি অত্যন্ত সুন্দর রূপসী কুমারী মেয়ে খুব সাজগোজ করে হাজির হল, বুজুর্গ জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কে? তোমার এত বড় সাহস বেহায়া ও বেশরম এর মত আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছো, তখন মেয়েটি উত্তরে বলল আমি হলাম দুনিয়া, বুজুর্গ বিষ্ময়কর কন্ঠে বললেন, তুমি দুনিয়া হলে এত অল্প বয়সের কেন? দুনিয়া তো অনেক বয়স হয়েছে এবং তুমি এত সুন্দর কেন? অথচ কত মানুষ তোমাকে চুষে খেয়েছে, প্রতিউত্তরে মেয়েটি বলল যে জনাব মনে রাখবেন নারী যত অল্প বয়সের হোক না কেন, যখন পুরুষ তাকে স্পর্শ করে, তখন তার শরীর দিন দিন ভেঙ্গে যায় ভেঙ্গে পড়ে, আর যদি নারী কোন পুরুষের স্পর্শ না পায, বয়স হলেও শরীর খুব দ্রুত ভাঙ্গেনা অর্থাৎ আমিও একজন বয়স্ক নারী কিন্তু কোনদিন কোন সুপুরুষ আমাকে স্পর্শ করতে পারিনি বিদায় আমি এখনো অল্প বয়স্ক কুমারী নারীর নয় রয়ে গেছি, আর যাদের সম্পর্কে বলেছেন যে তারা আমাকে চুষে খেয়েছে, আসলে তারা ছিল কাপুরুষ তারা আমাকে চুষে খেতে পারিনি যেমন উম্মতের আবু জাহেল উতবা, সায়বা, প্রমুখ কাফের মুনাফিক বেইমান ও তাদের দোসররা আমাকে স্পর্শ করার জন্য বহু দৌড়েছে, এবং প্রাণপণ চেষ্টা করছে কিন্তু আমি ধরা দেয়নি এভাবে দৌড়াতে দৌড়াতে তারা শেষ পর্যন্ত কবরে পৌঁছে গিয়েছে, কিন্তু আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি, আমার কোন স্বাদ তারা উপলব্ধি করতে পারেনি, আর এই দুনিয়াতে যারা ছিল সত্যিকারের পুরুষ যেমন আবু বকর ওমর ওসমান আলী প্রমুখ ব্যক্তিগণ তাদের অনুসারীরা আমি আমার সাজ সজ্জা নিয়ে তাদের দরবারে বহুবার হাজির হয়েছি, কিন্তু চোখের কিনারা দিয়েও তারা কখনো আমার দিকে তাকান নি, যারা আমার পিছে দৌড়িয়েছে, আমি তাদেরকে পিঠ দেখিয়েছি, আর যারা আমাকে লাথি মেরেছে, আমি তাদের পায়ে পডে়ছি, এই হল আমার স্বভাব, বুজুর্গ বললেন-হে খবিশ দুনিয়া, আমাদের বুযুর্গানে দ্বীন তোকে লাথি মেরেছে, মোটেও তোর দিকে ভ্রুক্ষেপ করেনি, আজ আমিও তোকে লাথি মারতে চাই, পাপিষ্ট এখান থেকে দূর হও এ বলে লা হাওলা পড়লেন, সাথে সাথে বেহায়া দুনিয়া সামনে থেকে সরে গেল মাওয়ায়েজে সিরাজী,পৃষ্ঠা 55


* যারা দোজখে যাবে এবং যারা জান্নাতে যাবে তারা পরস্পর সমান হতে পারে না 59:আল-হাশর:20


لَا يَسْتَوِىٓ أَصْحٰبُ النَّارِ وَأَصْحٰبُ الْجَنَّةِ ۚ أَصْحٰبُ الْجَنَّةِ هُمُ الْفَآئِزُونَ


যারা দোজখে যাবে এবং যারা জান্নাতে যাবে তারা পরস্পর সমান হতে পারে না। যারা জান্নাতে যাবে তারাই সফলকাম।


* কুনু মায়াছ ছোয়াদিক্কিন,দুনিয়াদার এ দলে থাকতে রাজি নয়,সেদিন আল্লাহ তাদেরকে বলবেন


36:ইয়া-সীন:59


وَامْتٰزُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ


---এবং হে অপরাধীরা! আজ তোমরা ছাঁটাই হয়ে আলাদা হয়ে যাও।৫২


সেদিন নেক আমলকারীদের বলবেন হে প্রশান্ত আত্মা! চলো তোমার রবের দিকে, এমন অবস্থায় যে তুমি (নিজের শুভ পরিণতিতে)সন্তুষ্ট (এবং তোমরা রবের) প্রিয়পাত্র 


89:আল-ফাজর:27


يٰٓأَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ


(অন্যদিকে বলা হবে) হে প্রশান্ত আত্মা! 89:আল-ফাজর:28


ارْجِعِىٓ إِلٰى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً


চলো তোমার রবের দিকে,১৯ এমন অবস্থায় যে তুমি (নিজের শুভ পরিণতিতে) সন্তুষ্ট (এবং তোমরা রবের) প্রিয়পাত্র।


89:আল-ফাজর:29


فَادْخُلِى فِى عِبٰدِى


শামিল হয়ে যাও আমার (নেক) বান্দাদের মধ্যে


89:আল-ফাজর:30


وَادْخُلِى جَنَّتِى


এবং প্রবেশ করো আমার জান্নাতে।


* যারা ঘোষণা করেছে, আল্লাহ‌ আমাদের রব, অতঃপর তার ওপরে দৃঢ় ও স্থির থেকেছে নিশ্চিত তাদের কাছে ফেরেশতারা আসে৩৪ এবং তাদের বলে, ভীত হয়ো না, দুঃখ করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ শুনে খুশি হও


41:হামীম-আস-সাজদাহ (ফুসসিলাত):30


إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقٰمُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلٰٓئِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِى كُنتُمْ تُوعَدُونَ


যারা৩২ ঘোষণা করেছে, আল্লাহ‌ আমাদের রব, অতঃপর তার ওপরে দৃঢ় ও স্থির থেকেছে৩৩ নিশ্চিত তাদের কাছে ফেরেশতারা আসে৩৪ এবং তাদের বলে, ভীত হয়ো না, দুঃখ করো না৩৫ এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ শুনে খুশি হও তোমাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।


41:হামীম-আস-সাজদাহ (ফুসসিলাত):31


نَحْنُ أَوْلِيَآؤُكُمْ فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَفِى الْءَاخِرَةِ ۖ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَشْتَهِىٓ أَنفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَدَّعُونَ


আমরা এই দুনিয়ার জীবনেও তোমাদের বন্ধু এবং আখেরাতেও। সেখানে তোমরা যা চাবে তাই পাবে। আর যে জিনিসেরই আকাঙ্খা করবে তাই লাভ করবে।


41:হামীম-আস-সাজদাহ (ফুসসিলাত):32


نُزُلًا مِّنْ غَفُورٍ رَّحِيمٍ


এটা সেই মহান সত্তার পক্ষ থেকে মেহমানদারীর আয়োজন যিনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।


* আল্লাহর প্রিয় দাসী হযরত হুসাইন বাগদাদী ( রহ ) বাজারে গেছেন । দেখলেন , একজন দাসী বিক্রি হচ্ছে । ভয়ানক কালাে । বিক্রেতা বললাে , মাথায় কিছুটা গণ্ডগােল আছে । চাইলে নিতে পার । তিনি বলেন , দাসীটির চেহারা দেখে আমার কাছে পাগল মনে হলাে না । আমি তাকে কিনে নিলাম । তখন রাত দুপুর । আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল । দেখলাম , দাসীটি মুসল্লায় বসে আছে । চোখ থেকে অবিরাম শুশ্রু ঝরছে । আল্লাহর সাথে একান্তে কথাবার্তা হচ্ছে । আমি নিমগ্ন ধ্যানে তার কথা শুনছিলাম । আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করলাম , সে বলছে- হে আল্লাহ ! তুমি যে আমাকে ভালােবাস ( এ কথা বলেনি , আমি যে তােমাকে ভালােবাসি বরং বলেছে , তুমি যে আমাকে ভালােবাস ) আমি সেই ভালােবাসার দোহাই দিচ্ছি । এ কথা বলতেই হুসাইন বাগদাদী ( রহ . ) তার কথায় বাধা দিয়ে বললেন , হে আল্লাহর বান্দী ! তুমি কী বলছাে ? বলল , হে আল্লাহ ! আমি যে তােমাকে ভালােবাসি সেই ভালােবাসার দােহাই । পাসী সঙ্গে সঙ্গে বললাে , মুহাম্মদ হুসাইন ! চুপ কর । তিনিই যদি আমাকে ভালাে না বাসতেন তাহলে আমাকে এই মুসল্লায় এনে দাঁড় করাতেন না । আর তােমাকেও ওখানে শুইয়ে রাখতেন না । আমাকে ভালােবাসেন বলেই মুসল্লায় এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন । যদি তােমাকে ভালােবাসতেন তাহলে তােমাকেও মুসল্লায় এনে দাঁড় করিয়ে দিতেন । অতঃপর সে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললাে , হে আল্লাহ ! এতদিন পর্যন্ত আমার রহস্য পর্দাবৃত ছিল । তােমার সাথে আমার সম্পর্কের কথা কেউ জানতাে না । এখন তাে মানুষ জেনে ফেলেছে । এখন তুমি আমাকে তােমার কাছে ডেকে নাও । এ কথা বলে সজোরে চিৎকার দিল এবং প্রাণবায়ু বেরিয়ে গেল । মুহাম্মদ হুসাইন বাগদাদী ( রহ . ) বলেন , আমি সম্পূর্ণ ঘাবড়ে গেলাম । খুব ভােরে কাফনের কাপড় কেনার জন্যে বাজারে গেলাম । কাফন নিয়ে এসে দেখলাম , সবুজ রঙের রেশমি কাফনে তার শরীর আবৃত । আর তার উপরে লেখা আছে 


১০: ইউনুস:৬২,


اَلَاۤ اِنَّ اَوْلِیَآءَ اللّٰهِ لَا خَوْفٌ عَلَیْهِمْ وَ لَا هُمْ یَحْزَنُوْنَۚۖ


শোনো, যারা আল্লাহর বন্ধু, ঈমান এনেছে এবং তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করেছে


 শােন , আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না । হিউনুস । ৬২ ) । আজ প্রয়ােজন প্রতিটি ঘরেই যেন হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - এর ইবাদত জীবিত হয়ে উঠে । কোন মুসলমান ঘরের কোন । সন্তান যেন বেনামাযী না থাকে । প্রয়ােজন হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - এর সমাজ ব্যবস্থাকে আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠা করা (আল্লাহকে যদি পেতে চাও-165)

No comments

Powered by Blogger.