Header Ads

Header ADS

মহিলাদের জামায়াতে নামাজ পড়ার বিধান

‎মহিলাদের জামায়াতে নামাজ পড়ার বিধান 

মহিলাদের জন্য মসজিদে জামায়াতে নামাজ পড়ার চেয়ে ঘরে নামাজ পড়া উত্তম। 

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا الْعَوَّامُ بْنُ حَوْشَبٍ، حَدَّثَنِي حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تَمْنَعُوا نِسَاءَكُمُ الْمَسَاجِدَ وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‏"‏ ‏.‏


ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের নারীদের মসজিদে যেতে নিষেধ করো না। তবে তাদের ঘরই তাদের জন্য উত্তম।


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫৬৭

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ, irdfoundation․com


‎حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ لَوْ أَدْرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا أَحْدَثَ النِّسَاءُ لَمَنَعَهُنَّ كَمَا مُنِعَتْ نِسَاءُ بَنِي إِسْرَائِيلَ‏.‏ قُلْتُ لِعَمْرَةَ أَوَ مُنِعْنَ قَالَتْ نَعَمْ‏.‏


‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


তিনি বলেন, যদি আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানতেন যে, নারীরা কী অবস্থা সৃষ্টি করেছে, তাহলে বনী ইসরাঈলের নারীদের যেমন বারণ করা হয়েছিল, তেমনি এদেরও মসজিদে আসা নিষেধ করে দিতেন। (রাবী) ইয়াহ্‌ইয়া ইব্‌নু সা'ঈদ (রহঃ) বলেন,আমি ‘আম্‌রাহ্‌ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তাদের কি নিষেধ করা হয়েছিল? তিনি বললেন, হাঁ।


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮৬৯

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ, irdfoundation․com





‎ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: لَا تَمْنَعُوا نِسَاءَكُمُ الْمَسَاجِدَ وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ


‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


  তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে মাসজিদে আসতে নিষেধ করো না। তবে সলাত আদায়ের জন্য তাদের জন্যে ঘরই উত্তম। (আবূ দাঊদ) [১]  


ফুটনোট: [১] সহীহ লিগায়রি

হী : আবূ দাঊদ ৫৬৭, সহীহ আত্ তারগীব ৩৪৩।  


মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১০৬২

হাদিসের মান: সহিহ লিগাইরিহি

সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ, irdfoundation․com



‎ حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لَوْ أَدْرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا أَحْدَثَ النِّسَاءُ لَمَنَعَهُنَّ الْمَسْجِدَ كَمَا مُنِعَهُ نِسَاءُ بَنِي إِسْرَائِيلَ ‏.‏ قَالَ يَحْيَى فَقُلْتُ لِعَمْرَةَ أَمُنِعَهُ نِسَاءُ بَنِي إِسْرَائِيلَ قَالَتْ نَعَمْ ‏.‏  


রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহধর্মিনী ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


  রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যদি আজকের মহিলাদের এরূপ অবস্থা দেখতেন (যেমন সুগন্ধি লাগানো, বেপর্দা চলা), তাহলে অবশ্যই তিনি তাদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করে দিতেন। যেরূপ নিষেধ করে দেয়া হয়েছিল বনী ইসরাইলের মহিলাদের। বর্ণনাকারী ইয়াহইয়াহ বলেন, আমি আমরাহকে বললাম, বনী ইসরাইলের মহিলাদের কি নিষেধ করা হয়েছিল? তিনি বললেন হ্যাঁ।  


সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম  


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫৬৯

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ, irdfoundation․com



হজরত আবু হুমাইদ আল সাঈদি থেকে বর্ণিত, একবার উম্মে হুমাইদ নামের এক নারী সাহাবি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমি আপনার সঙ্গে নামাজ আদায় করতে আগ্রহী।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি জানি তুমি আমার সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পছন্দ করো। কিন্তু তোমার জন্য বড় কামরার চেয়ে ঘরের অন্দরমহলে নামাজ পড়া উত্তম। আবার বড় কামরায় নামাজ পড়া উত্তম বারান্দায় নামাজ পড়ার চেয়ে। বারান্দায় নামাজ আদায় করা উত্তম তোমার মহল্লার মসজিদের চেয়ে। মহল্লার মসজিদ উত্তম আমার মসজিদ (মসজিদে নববী) থেকে।’ এ কথা শোনার পর উম্মে হুমাইদ (রা.) তার ঘরের নির্জন স্থানে একটি নামাজের জায়গা বানাতে নির্দেশ দিলেন। সেখানেই আজীবন নামাজ আদায় করতে লাগলেন। এ অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৭০৯০)




সুতরাং যারা মনে করেন- নারীদের প্রতি বৈষম্য থেকে তাদের জন্য মসজিদে নির্দিষ্ট জায়গা রাখা হয় না। তাদের এ চিন্তা সঠিক নয়। বরং ইসলামই বলছে- নারীর নামাজের জন্য উত্তম জায়গা হলো ঘর; মসজিদ নয়। বিষয়টি জায়েজ হলেও রাসুল (সা.) থেকে শুরু করে, পরবর্তী সময়ে সাহবায়ে কেরামও তাদের মসজিদে এসে নামাজ আদায়ে নিরুৎসাহিত করেছেন।


তবে বর্তমান সময়ের বাস্তব চিত্র হচ্ছে— নারীদের বাইরে চলাফেরা বৃদ্ধি পেয়েছে। কাজকর্মের উদ্দেশ্য ছাড়াও অনেক নারী গ্রাম ছেড়ে শহরে স্বামী-সন্তানসহ বসবাস করছেন। তারা যখন গ্রামের বাড়িতে যান কিংবা ফেরেন, তখন যাত্রাপথে স্বামী-সন্তানেরা নামাজ আদায় করলেও তারা সে সুযোগ পাচ্ছেন না। যদিও কিছু মসজিদে নারীদের স্বতন্ত্র নামাজের জায়গা বরাদ্দ আছে, তবে সংখ্যায় তা খুবই অল্প।


এই বাস্তবতা সামনে রেখে বর্তমানের সচেতন আলেমরা মসজিদে নারীদের আলাদা জায়গা বরাদ্দ রাখার বিষয়ে মত দিয়ে থাকেন। রাজধানীর উত্তরার জামিয়া আরাবিয়া বাইতুস সালামের (বাইতুস সালাম মাদ্রাসা) মুহতামিম মুফতি মানসুর আহমাদ বলেন, ‘নারীরা স্বাভাবিক অবস্থায় শুধু নামাজের উদ্দেশে ঘর ছেড়ে মসজিদে যাবেন না। হাদিসে স্বাভাবিক অবস্থায় ঘরকে নারীর সর্বোত্তম মসজিদ বলা হয়েছে। কিন্তু সফর বা বিশেষ প্রয়োজনে তারা বাইরে বের হলে তাদের নামাজ যেন কাজা না হয়ে যায় সে উদ্দেশ্যে হাসপাতাল, স্টেশন ও বড় রাস্তার পাশের মসজিদগুলোতে সীমিত পরিসরে হলেও নামাজ, ওজু ও টয়লেটের স্বতন্ত্র ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।’


এ প্রসঙ্গে রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘ইসলামের প্রাথমিক যুগে রাসুলুল্লাহ (সা.) নারীদেরকে জামাতে শরীক হওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন, তা মূলত শর্তসাপেক্ষে ছিল। সেখানে বর্তমান যুগের মতো নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ও ফিতনা-ফাসাদের ভয় ছিল না। তাছাড়া তারা নতুন মুসলমান, সেহেতু দ্বীন শিক্ষার জন্য এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশনা জেনে তা নিজে আমল করা ও অপরের কাছে প্রচার করার তাকিদও ছিল। তবে তখনও নারীদের মসজিদে নামাজ পড়ার চেয়ে নিজ ঘরে নামাজ পড়া অধিক উত্তম বলে হাদিসে বর্ণিত আছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের নারীদেরকে মসজিদগুলোতে নিষেধ করো না, তবে তাদের জন্য নিজ ঘরে নামাজ পড়াই অধিক উত্তম।’ (আবু দাউদ, ১/৮৪) অধিকন্তু পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ফিতনা-ফাসাদের আশঙ্কা থাকার দরুন নারীদের জন্য মসজিদে না যাওয়ার পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে। সুতরাং বর্তমানে নারীদের মসজিদের জামাতে উপস্থিত হওয়ার কোনও যুক্তি থাকতে পারে না। বিশেষ করে তারা তো মসজিদে যাবেন অধিক ফজিলত লাভের জন্য। অথচ তাদের ক্ষেত্রে ঘরে নামাজ পড়া মসজিদে নামাজ পড়ার চেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ বলে হাদিসে বলা হয়েছে। সুতরাং নারীদের অধিক ফজিলতের জন্য মসজিদে না গিয়ে ঘরের অন্দরে নামাজ পড়াই কর্তব্য, এতেই তাদের জন্য অধিক সওয়াব।’


‘কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রয়োজনের কারণে বিভিন্ন মহাসড়কে, দূরপাল্লার যাত্রীদের যাত্রাবিরতিস্থলে, বড় বড় বাস ও ট্রেন স্টেশনে এবং শহরের বড় শপিং মলে মসজিদ বা নামাজের নির্ধারিত জায়গার পাশে নারীদের জন্য নামাজের পৃথক জায়গা রাখার পক্ষে ফুকাহায়ে কেরাম মত দিয়ে থাকেন। তবে এ পর্যায়ে নারীদের নিরাপত্তা ও শরয়ি পর্দা বজায় রাখার দিকটি বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। অজু ও ইস্তিঞ্জার জায়গাও পুরুষদের থেকে সম্পূর্ণ পৃথক রাখতে হবে।’ যোগ করেন মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী।


এ বিষয়ে রাজধানীর দারুল উলুম ঢাকার মুহতামিম মুফতি রেজাউল হক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘নারীদের জুমার নামাজে শরিক হওয়া ওয়াজিব নয়। মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত জামাতে শরিক হওয়াও তাদের দায়িত্ব নয়। মানে সুন্নাত কিংবা ওয়াজিব নয়। মসজিদের চেয়ে নিজবাড়িতে তাদের নামাজ আদায়ে বেশি সওয়াব। এ বিষয়টি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তবে মার্কেট, কলেজ-ইউনিভার্সিটি, হাসপাতাল, অফিস-আদালত, দর্শনীয় স্থান এবং এমন সব জায়গা, যেখানে নানা কারণে নারীরা আসেন, সেখানে অবশ্যই তাদের নামাজ পড়ার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে নামাজের ওয়াক্ত আসলে তারা নামাজ কোথায় পড়বেন? এজন্য এসব জায়গায় নারীদের নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রাখা একান্ত আবশ্যক।’


এক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকররমের উদাহরণ টেনে তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে নারীদের নামাজের সুন্দর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং সৌদি আরবের যে মসজিদগুলো বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে অবস্থিত, সেসব মসজিদে খুব সুন্দরভাবে নারীদের জন্য পৃথক ও পর্দার সঙ্গে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা আছে। তাই আমাদের মতামত হলো- যেখানে যেকোনও প্রয়োজনে নারীরা আসেন, সেসব জায়গার মসজিদে অবশ্যই অবশ্যই তাদের নামাজের সুন্দর ব্যবস্থা রাখতে হবে। এটা একান্ত কর্তব্য।’


উপরোল্লিখিত স্থানগুলোতে নামাজের জায়গা যে কতটা প্রয়োজনীয়, তার বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন রাজধানীর মারকাযুদ দিরাসাহ আল ইসলামিয়্যাহ ঢাকার সিনিয়র শিক্ষক তরুণ আলেম মুফতি যোবায়ের খান। তিনি জানালেন, কিছু দিন আগে সস্ত্রীক নিউমার্কেটে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে নামাজের সময় হলো। সেখানে দুই তলায় পুরুষদের নামাজের জায়গা আছে। কিন্তু তার সঙ্গে তো স্ত্রীও আছেন। দুজনেরই নামাজ পড়তে হবে। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারলেন- নিচে নারীদের জন্যও নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা আছে। পরে তিনি দুই তলায় ও তার স্ত্রী নিচে তাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় নামাজ আদায় করলেন।


মুফতি যোবায়ের খান বলেন, ‘বিষয়টি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ওই দিন যদি আমরা দুজনেই নামাজ পড়তে না পারতাম, তাহলে নিজের কাছে নিজেকেই ‘ছোট’ অনুভব করতাম। নারীদের নামাজের জন্য সুন্দর ব্যবস্থা রাখার জন্য নিউমার্কেট কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ধন্যবাদ।’


লেখক: গণমাধ্যমকর্মী; শিক্ষক, মারকাযুদ দিরাসাহ আল ইসলামিয়্যাহ, ঢাকা।


মহিলাদের মসজিদে নামাজ পড়ার বিধান এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুরের অভিমত


https://youtu.be/zdCPfj4idv4?si=kFQ6ypwQgutsInS8


‎ حَدَّثَنَا  عَبْدُ  اللَّهِ  بْنُ  أَحْمَدَ  بْنِ  بَشِيرِ  بْنِ  ذَكْوَانَ  الدِّمَشْقِيُّ،  حَدَّثَنَا  الْوَلِيدُ  بْنُ  مُسْلِمٍ،  حَدَّثَنَا  عَبْدُ  اللَّهِ  بْنُ  الْعَلاَءِ،  -  يَعْنِي  ابْنَ  زَبْرٍ  -  حَدَّثَنِي  يَحْيَى  بْنُ  أَبِي  الْمُطَاعِ،  قَالَ  سَمِعْتُ  الْعِرْبَاضَ  بْنَ  سَارِيَةَ،  يَقُولُ  قَامَ  فِينَا  رَسُولُ  اللَّهِ  ـ  صلى  الله  عليه  وسلم  ـ  ذَاتَ  يَوْمٍ  فَوَعَظَنَا  مَوْعِظَةً  بَلِيغَةً  وَجِلَتْ  مِنْهَا  الْقُلُوبُ  وَذَرَفَتْ  مِنْهَا  الْعُيُونُ  فَقِيلَ  يَا  رَسُولَ  اللَّهِ  وَعَظْتَنَا  مَوْعِظَةَ  مُوَدِّعٍ  فَاعْهَدْ  إِلَيْنَا  بِعَهْدٍ  فَقَالَ  ‏  "‏  عَلَيْكُمْ   بِتَقْوَى  اللَّهِ  وَالسَّمْعِ  وَالطَّاعَةِ  وَإِنْ  عَبْدًا  حَبَشِيًّا  وَسَتَرَوْنَ  مِنْ  بَعْدِي  اخْتِلاَفًا  شَدِيدًا  فَعَلَيْكُمْ  بِسُنَّتِي   وَسُنَّةِ   الْخُلَفَاءِ   الرَّاشِدِينَ   الْمَهْدِيِّينَ   عَضُّوا  عَلَيْهَا  بِالنَّوَاجِذِ  وَإِيَّاكُمْ  وَالأُمُورَ  الْمُحْدَثَاتِ  فَإِنَّ  كُلَّ  بِدْعَةٍ  ضَلاَلَةٌ  ‏"‏  ‏.‏


ইরবাদ বিন সারিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


  একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাষায় আমাদের নাসীহাত করেন, যাতে অন্তরসমুহ ভীত হলো এবং চোখগুলো অশ্রু বর্ষণ করলো। তাঁকে বলা হলো, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি তো বিদায় গ্রহণকারীর উপদেশ দিলেন। অতএব আমাদের নিকট থেকে একটি প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করুন (একটি সুনির্দিষ্ট আদেশ দিন)। তিনি বলেন, তোমরা আল্লাহ্‌ভীতি অবলম্বন করো, শ্রবণ করো ও আনুগত্য করো (নেতৃ-আদেশ), যদিও সে কাফ্রী গোলাম হয়। আমার পরে অচিরেই তোমরা মারাত্মক মতভেদ লক্ষ্য করবে। তখন তোমরা আমার সুন্নাত ও হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদ্বীনের সুন্নাত অবশ্যই অবলম্বন করবে, তা দাঁত দিয়ে শক্তভাবে কামড়ে ধরবে। অবশ্যই তোমরা বিদ‘আত কাজ পরিহার করবে। কারন প্রতিটি বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা। [৪২]  


ফুটনোট:   [৪২]  তিরমিযী ২৬৭৬, আবূ দাঊদ ৪৬০৭, আহমাদ ১৬৬৯২, দারিমী ৯৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৪৫৫, মিশকাত ১৬৫, ফিলাল ২৪-২৬, সালাতুত তারাবীহ ৮৮-৮৯।  


সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪২

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ,  irdfoundation․com


মহিলাদের জামায়াতে নামাজ পড়ার বিধান 

অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন আমরা মহিলা, তারাবি জামাত নাকী একা? তাদের জন্য। আশা করি উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে 👍, কমেন্টস,share অন্য কে জানানোর জন্যে।🕊️🕊️🕊️💖💖💖🥰🥰🥰


*মহিলাদের তারাবীহর জামাআত, শরীআত কী বলে?*

"""""""""""""""""""'""""""""""""""""""""""""""""""""""""

প্রবৃত্তিপূজার এই যুগে, শরীআতের অনন্য অনুপম নিয়ম-নীতি, সাহাবায়ে কিরামদের কর্ম-পদ্ধতি এসব কিছুকে উপেক্ষা করে আমরা নিজেদের আবেগ, ইচ্ছা, এবং ভালোলাগাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি।


ফলে কেউ যদি আমাদের আবেগ ও ইচ্ছার অনুকূলে কোনও মাসআলা বলে, তাহলে সানন্দে তা আমরা গ্রহণ করি। যদিও আমলটি শরীআতের দৃষ্টিতে অপছন্দনীয় হয়। আমরা এতটুকুতেই সন্তুষ্ট হয়ে যাই যে, অপছন্দনীয় হলেও নাজাইয তো নয়। এবিষয়টি একবারও ভাবার চেষ্টা করি না যে, শরীআতের দৃষ্টিতে আমলটি অপছন্দনীয় কেন?


পক্ষান্তরে কেউ যদি রসূলুল্লহ স্বল্লাল্ল-হু আলাইহি অসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কিরামদেরকে অনুসরণ করে পছন্দনীয় এবং অধিক সওয়াবসম্বলিত কোনও নিয়ম পদ্ধতির অবলম্বনের প্রতি উৎসাহ প্রদান করে , আর তা যদি হয় আমাদের আবেগ ও ইচ্ছার পরিপন্থী, তাহলে আমরা অসন্তুষ্ট হয়ে যাই। 

"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""

এমনই একটা বিষয় হলো পুরুষ ইমামের পিছনে মহিলাদের একত্রিত হয়ে জামাআতসহ তারাবীহর নামায আদায় করা। 


উচিত ছিল রমাযানের মতো পবিত্রতম এবং বরকতময় মাসে এমন পদ্ধতিতে নিজে ইবাদাত করা এবং অন্যদেরকে তার উদ্বুদ্ধ করা যাতে সাওয়াব বেশি হয়। এবং গোনাহের আশঙ্কা থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়।

""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""


*মহিলাদের তারাবীহর জামাআত, শরীআতের দৃষ্টিতে অপছন্দনীয়*

"""""""""""""""""""'""""""""""""""""""""""""""""""""""""

তারাবীহর জামাতের জন্য মহিলাদেরকে বিভিন্ন জায়গা থেকে একত্রিত করা শরীয়তের দৃষ্টিতে একেবারে অপছন্দনীয়। ফরয নামাযের জামাতের বিশেষ গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের নিজ ঘরের অভ্যন্তরে নামায আদায় করাকে অধিক উত্তম ও সওয়াবের কাজ বলেছেন।


 সাহাবায়ে কিরামগণ ফরয নামাযের জামাতে মহিলাদের অংশগ্রহণ করতে নিরুৎসাহিত করেছেন। ফরয নামাযের জামাতে মহিলাদেরকে এত নিরুৎসাহিত করা হলে তারাবীহর ক্ষেত্রে শরীআতের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে তা সহজেই অনুমান করা যায়।


সুতরাং বিভিন্ন বাড়ি থেকে কোনও বাড়িতে বা মসজিদে মহিলাদের তারাবীহর জামাতের জন্য একত্রিত হওয়া কিছুতেই উচিত নয়। মহিলাদের জন্য নিজ নিজ ঘরে একাকী তারাবীহ পড়াই উত্তম।


প্রকাশ থাকে যে, নিজের বোন, মা বা অন্য কোনও মাহরাম আত্মীয়া সেখানে থাকলে, তারা চাইলে ঘরোয়াভাবে তারাবীহ পড়তে পারবে। কিন্তু কোনও ভিন্ন মহিলাকে বাহির থেকে আসতে দেওয়া ঠিক হবে না।


-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫৭১; বাদায়েউস সনায়ে ১/৬১৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৮৯; আদ্দুররুল মুখতার ১/৫৬৬-৫৬৭


"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""

*জামাতের বিধান নারীদের জন্য নয় :*

--------------------------------------------------


ফরয নামায জামাতের সহিত আদায় করা পুরষদের জন্য ওয়াজিবের পর্যায়ের। অসংখ্য হাদীস দ্বারা এটা প্রমাণিত। কিন্তু জামাতের সাথে নারীদের নামায আদায় করা ওয়াজিব, সুন্নাত, মুস্তাহাব, নফল কোনওটাই নয়। বিভিন্ন হাদীসের আলোকে এটাই স্পষ্ট প্রমাণিত। নমুনাস্বরূপ কয়েকটি হাদীস উদ্ধৃত হলো।


১.


যেসব পুরুষ অকারণে মসজিদে না এসে ঘরে নামায পড়ে তাদের বিষয়ে রাগান্বিত হয়ে রাসূল স্বল্লাল্ল-হু আলাইহি অসাল্লাম ধমকিস্বরূপ বলেন,


لولا ما في البيوت من النساء والذرية، لأقمت الصلاة، صلاة العشاء، وأمرت فتياني يحرقون ما في البيوت بالنار»


 *“যদি ঘরগুলোতে নারী ও শিশুসন্তান না থাকত, তাহলে আমি ইশার নামাযের ইমামতীর দায়িত্ব অন্যজনকে দিয়ে কিছু যুবকদলকে দিয়ে ঘরের সব কিছু জ্বালিয়ে দিতাম।”*


 (মুসনাদে আহমাদ, হা. ৮৭৯৬, মুসনাদে আবী দাউদ ত্বায়ালিসি, হা. ২৪৪৩)


*_উক্ত হাদীসে নারী ও শিশু না থাকলে ঘর জ্বালানোর কথা এ জন্যই বলা হয়েছে যেহেতু মহিলা ও শিশুর ওপর মসজিদের জামাত নেই, তাই এখানে বালেগ পুরুষদেরই উক্ত ধমকি দেওয়া হয়েছে। এতে সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে মসজিদের জামাতের বিধান নারীদের জন্য নয়।_*


২.


والذي نفسي بيده، لقد هممت أن آمر بحطب يحتطب، ثم آمر بالصلاة فيؤذن لها، ثم آمر رجلا فيؤم الناس، ثم أخالف إلى رجال فأحرق عليهم بيوتهم،


হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “ওই সত্ত্বার কসম, যার হাতে আমার জীবন! আমার ইচ্ছা হয় কাউকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করার নির্দেশ প্রদান করি। আর কাউকে আযান দেওয়ার হুকুম করি। অতঃপর একজনকে ইমামতী করার আদেশ করে স্বয়ং নিজে গিয়ে *সেসব পুরুষের ঘর জ্বালিয়ে দিই, যারা জামাতে অংশগ্রহণ করেনি।”* (বোখারী হা. ৭২২৪)


*এই হাদীসে শুধুমাত্র পুরুষদের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার ধমকি দেওয়া হয়েছে। বোঝা গেল নারীদের জামাতে অংশগ্রহণ করার বিধান শরীআতে নেই।*


৩.


ইবনে উমার (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত আরেক হাদীসে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন,


لا خير في جماعة النساء، ولا عند ميت فإنهن إذا اجتمعن قلن، وقلن»


 *নারীদের জামাতে কোনও কল্যাণ নেই।……কারণ তারা কোনও স্থানে সমবেত হলে স্বভাবসুলভ আলাপচারিতায় মত্ত হয়।* (আল মুজামুল কাবীর, হা. ১৩২২৮)


 এর পরও কি দ্বীন ও সাওয়াবের দোহাই দিয়ে নারীদের জামাআতে অংশগ্রহণের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা, কল্যাণকর বলার অবকাশ আছে? 


নাকি সরলমনা মুসলিম নারীদের নামাযের নামে একত্রিত করে ফিতনার দ্বার উন্মুক্ত করা হবে?

"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""

*নারীদের নামাযের সর্বোত্তম স্থান :*

--------------------------------------------------

সব কাজ আবেগের বশীভূত হয়ে করা যায় না। বিপদ ডেকে আনতে পারে!


বিশেষ করে নামাযের মতো একটি ইবাদত আবেগ দিয়ে নয় বরং দলীল ও প্রমাণের আলোকে সাহাবায়ে কিরামের অনুসৃত পথ ও পন্থায় সম্পাদন করতে হবে। রাসূল (স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উম্মতের নারী সদস্যদের এই আবেগের যথার্থ মূল্যায়ন করে মসজিদে গিয়ে নামায পড়ার চেয়ে বেশি সাওয়াব অর্জনের পথ ও স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন এবং ঘোষণা করেছেন, নারীগণের ঘরের নির্জন কক্ষের নামায মসজিদের নামাযের তুলনায় বেশি ফযীলতপূর্ণ। এ মর্মে কয়েকটি হাদীস উদ্ধৃত হলো।


১.


হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) সূত্রে বর্ণিত, “রাসূলুল্লাহ (স্বল্লাল্লহু আলাইহি অসাল্লাম বলেন,


صلاة المرأة في بيتها أفضل من صلاتها في حجرتها، وصلاتها في مخدعها أفضل من صلاتها في بيتها


 নারীদের ক্ষুদ্র কক্ষের নামায বড় কামরার নামাযের তুলনায় উত্তম। ঘরের নির্জন কোণের নামায ক্ষুদ্র কক্ষের নামাযের তুলনায় উত্তম।” (আবু দাউদ, হা. ৫৭০)


অপর বর্ণনায় হাদীসটি হযরত উম্মে সালামা (রা.)-এঁর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা) থেকে আরও বর্ধিতভাবে বর্ণিত হয়েছে,


صلاة المرأة في بيتها خير من صلاتها في حجرتها، وصلاتها في حجرتها خير من صلاتها في دارها، وصلاتها في دارها خير من صلاتها خارج


 “এবং নারীদের বাড়িতে নামায পড়া বাড়ির বাইরে নামায পড়ার চেয়ে উত্তম।”


 (আল মু’জামুল আওসাত, হা. ৯১০১) ইমাম নববী (রহ.) বলেন, হাদীসটির সূত্র ইমাম মুসলিমের শর্ত অনুযায় সহীহ। (খুলাসাতুল আহকাম ২/৬৭৮)


ইমাম হাকিম (রহ.) বলেন, হাদীসটি ইমাম বোখারী ও মুসলিম (রহ.)-এর শর্ত অনুযায়ী সহীহ। হাফিয যাহাবী (রহ.)-ও তাঁর সমর্থন করেছেন। (আল মুস্তাদরাক-টীকাসহ-১/২০৯)


২.


হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে আরও বর্ণিত আছে, 


ما صلت امرأة من صلاة أحب إلى الله من أشد مكان في بيتها ظلمة.


“নারীদের কোনও নামায আল্লাহর নিকট তার ওই নামায অপেক্ষা পছন্দনীয় নয়, যা সে তার ঘরের অন্ধকার কক্ষে আদায় করে। (মাজমাউয যাওয়াইদ : ২১১৫)


৩.


রাসূলুল্লাহ (স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘরের নির্জন কক্ষকে নারীদের সর্বোত্তম মসজিদ আখ্যায়িত করেছেন এবং সেখানে আদায়কৃত নামাযের সাওয়াব শুধু সাধারণ মসজিদই নয় বরং মসজিদে নববীতে আদায়কৃত নামাযের সাওয়াবের চেয়েও বেশি বলে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। হযরত উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স্বল্লাল্লহু আলাইহি অসাল্লাম)ইরশাদ করেন,


خير مساجد النساء قعر بيوتهن»


 নারীদের সর্বোত্তম মসজিদ তাদের ঘরের নির্জন কক্ষ। (মুসনাদে আহমাদ, হা. ২৬৫৪২)


প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আল্লামা বুসিরী (রহ.) বলেন, হাদীসটির সূত্র সহীহ। (ইতহাফুল খিয়ারাতিল মাহারা ২/৬৪)


৪.

عن عمته أم حميد امرأة أبي حميد الساعدي، أنها جاءت النبي صلى الله عليه وسلم فقالت: يا رسول الله، إني أحب الصلاة معك، قال: «قد علمت أنك تحبين الصلاة معي، وصلاتك في بيتك خير لك من صلاتك في حجرتك، وصلاتك في حجرتك خير من صلاتك في دارك، وصلاتك في دارك خير لك من صلاتك في مسجد قومك، وصلاتك في مسجد قومك خير لك من صلاتك في مسجدي» ، قال: فأمرت فبني لها مسجد في أقصى شيء من بيتها وأظلمه، فكانت تصلي فيه حتى لقيت الله عز وجل


আব্দুল্লাহ ইবনে সুয়াইদ আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা উম্মে হুমাইদ (নামক একজন মহিলা সাহাবী), যিনি আবু হুমাইদ সা-ইদি (রা.)-এঁর স্ত্রী, তিনি রাসূলুল্লাহ (.স্বল্লাল্লহু আলাইহি অসাল্লাম)এঁর নিকট গিয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার সাথে নামায আদায় করতে আগ্রহী। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, “আমি জানি তুমি আমার সাথে নামায আদায় করতে পছন্দ করো। কিন্তু তোমার জন্য গৃহের অন্দরমহলে নামায পড়া উত্তম; বড় কামরার তুলনায়। বড় কামরায় নামায পড়া উত্তম বারান্দার চেয়ে। বারান্দা উত্তম তোমার পাড়ার মসজিদের চেয়ে। নিজ পাড়ার মসজিদ উত্তম আমার মসজিদ থেকে।” এ কথা শোনার পর উম্মে হুমাইদ (রা.) তাঁর গৃহের নির্জন স্থানে একটি নামাযের স্থান বানানোর নির্দেশ দিলেন এবং সেখানেই মৃত্যু পর্যন্ত নামায আদায় করেন। (মুসনাদে আহমাদ, হা. ২৭০৯০, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হা. ১৬৮৯)


হাফিয ইবনু হাজার (রহ.) বলেন, হাদীসটি হাসান। (ফাতহুল বারী ২/২৯০)


*এই হাদীসে মুসলিম নারীদের জন্য শিক্ষণীয় অনেক কিছুই আছে।* 


নিম্নের হাদীসটি লক্ষ করুন!


 হযরত আবু হোরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত বোখারী শরীফের বর্ণনা অনুযায়ী, 


صلاة في مسجدي هذا خير من ألف صلاة فيما سواه، إلا المسجد الحرام»


“মসজিদে নববীর এক নামাযে অন্য মসজিদের এক হাজার নামােযর সাওয়াব পাওয়া যায়।” (বুখারী, হা. ১১৯০)


অপর হাদীসে রয়েছে, “একাকী নামাযের তুলনায় জুমু’আর মসজিদের নামাযে পাঁচ শত গুণ সাওয়াব বেশি।”


এতে প্রমাণিত হলো, একাকী নামাযের তুলনায় মসজিদে নববীর নামাযে পাঁচ লক্ষ গুণ সাওয়াব বেশি। তাহলে এবার চিন্তা করে দেখুন, রাসূলুল্লাহ(স্বল্লাল্লহু আলাইহি অসাল্লাম)এঁর ঘোষণা থেকে বোঝা যায়, নারীদের “ঘরের নির্জন কক্ষে” আদায়কৃত নামাযের সাওয়াব মসজিদে নববীতে আদায়কৃত নামাযের চেয়ে পাঁচ লক্ষ গুণ বেশি উত্তম !!!


এর পরেও কি মহিলাদেরকে তারাবীহ নামাযের জন্য একত্রিত করে পবিত্র রমাযানুল মুবারকের অসংখ্য-অগণিত সওয়াব থেকে বঞ্চিতা করা উচিত হবে?


তাদেরকে অধিক সওয়াব ও ফযীলতের কথা শুনিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে তারাবীহ পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা আমাদের কর্তব্য নয় কি?


"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""

*দারুল উলূম দেওবন্দের ফাতওয়া*

""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""

No comments

Powered by Blogger.